এবার নন বাসমতি চালের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য ভারতকে অনুরোধ করল ইন্টারন্যাশানাল মনিটারি ফান্ড( আইএমএফ)। কারণ ইন্টারন্যাশানাল মনিটারি ফান্ড( আইএমএফ) জানিয়েছে, এভাবে রফতানি বন্ধ করে দিলে বাসমতির সংকট দেখা দেবে। তার জেরে দামও বাড়তে পারে ক্রমশ। পিটিআই সূত্রে খবর।
সূত্রের খবর, ভারত সরকার গত ২০ জুলাই বাসমতি নয় এমন সাদা চালের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কারণ দেশে যাতে চালের সংকটের জেরে দাম না বেড়ে যায় সেকারণে এই পদক্ষেপ নিয়েছিল ভারত। আর তার জেরে সমস্যায় পড়ে যায় একাধিক দেশ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভারত থেকে চাল রফতানি করা হয়। কিন্তু ভারত এতে লাগাম টেনে ধরায় সমস্যায় পড়ে যায় একাধিক দেশ। এদিকে আইএমএফের মুখ্য অর্থনীতিবিদ পিয়ারে অলিভার গৌরিনচাস জানিয়েই দেন এভাবে যদি ভারত পদক্ষেপ নেয় তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশও পালটা পদক্ষেপ নিতে পারে।
সেকারণেই আমরা অনুরোধ করছি এই রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিন। কারণ এতে গোটা বিশ্ব ক্ষতির মুখে পড়ছে। ইন্টারন্যাশানাল মনিটারি ফান্ড( আইএমএফ)এর মুখ্য অর্থনীতিবিদ পিয়ারে অলিভার গৌরিনচাস একথা জানিয়েছিলেন।
এবার জেনে নিন ভারত কত চাল বিদেশে রফতানি করে?| সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে ভারত 4.2 মিলিয়ন USD-র চাল রফতানি করেছিল। তবে এবছর সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ২.৬২ ইউএসডি। মোটামুটিভাবে আমেরিকা, থাইল্যান্ড, ইতালি, স্পেন, শ্রীলঙ্কায় ভারত চাল রফতানি করে।
তবে আইএমফের মুখ্য অর্থনীতিবিদ পিয়ারে অলিভার গৌরিনচাস জানিয়েছেন, ভারতের অর্থনীতিতে জোরদার ভাবে বাড়ছে।
তবে আইএমএফের এক আধিকারিকের দাবি, আমরা দেশের ব্যাপারটা বুঝছি। কিন্তু যদি বিশ্বের ব্যাপারটা দেখেন সেটা কিন্তু অন্য দিকে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমরা বলছি এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা দরকার। সেই সঙ্গেই বলা হচ্ছে ভারতের ডিজিটাল পরিকাঠামো নিঃসন্দেহে অত্যন্ত ভালো। এনিয়ে প্রশংসা করছে আইএমএফ। জি-২০ দেশগুলির সঙ্গে ভারত যেভাবে সম্পর্ক বজায় রাখছে তাতেও খুশি আইএমএফ।