পাক নিরাপত্তা বাহিনীর সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে খতম ১০ জঙ্গি। খাইবার পাখতুনখওয়ার উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় পৃথক অভিযান চালায় পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। সেই অভিযানে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাক সেনাবাহিনীর মিডিয়া বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার ও শনিবার ২ দিন ধরে এই অভিযান চালানো হয়।
আরও পড়ুনঃ নিয়ন্ত্রণ রেখার ১০০ মিটার দূরে খতম ২ জঙ্গি, মিলল পাক যোগের প্রমাণ, চিনা পিস্তল
ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশন্সের (আইএসপিআর) রবিবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রথমে শুক্রবার অভিযান চালিয়ে ৪ জঙ্গিকে খতম করেছে পাক নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী। তারপরে আরও একটি অভিযানে আরও ৪ জঙ্গি নিহত হয়।
এদিকে, জেলায় আরও একটি জায়গায় পৃথক অভিযানে ৫ জঙ্গির সঙ্গে গুলির লড়াই হয় নিরাপত্তাবাহিনীর। তাতে ২ জন নিহত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, তারা আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল। সেখানে নিহত দুজনের নাম হযরত উমর এবং রেহমান নিয়াজ। এই ঘটনার পরেই আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে আফগান সরকারকে সতর্ক করেছে পাকিস্তান। এছাড়াও পাক সেনাকেও সর্তক করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার, নিরাপত্তা বাহিনী খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে পৃথক অভিযানে ২ সন্ত্রাসবাদীকে খতম করেছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ জঙ্গি তেহরিক-ই-তালিবান ২০২২ সালের নভেম্বরে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শেষ করার পরে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখাওয়া এবং বালুচিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বেড়েছে।
সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের একটি বার্ষিক নিরাপত্তা প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানে ২০২৩ সালে ৭৮৯টি সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছিল। তারফলে প্রচুর প্রাণহানি হয়েছে। তাছাড়া সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানেও অনেকের মৃত্যু হয়েছিল। সন্ত্রাসী হামলা এবং সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের ফলে গত বছর দেশটিতে ১৫২৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়াও আহত হয়েছিলেন ১৪৬৩ জন। যা গত ৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল।
উল্লেখ্য, এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে খাইবার পাখতুনখওয়া এবং বালুচিস্তানে। হামলায় নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি প্রাণহানি ঘটেছে এই এলাকায়। তাছাড়া, গত জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশে ব্যাপক হামলা চালিয়েছিল বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী। সেই হামলায় ৩ জন নাগরিকসহ কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বালুচিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মাচ এবং কোলপুর কমপ্লেক্সে হামলা চালানো হয়। পরে জঙ্গি সংগঠন বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) হামলার দায় স্বীকার করে।