ঘটনা গত ৫ মার্চের। পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের কেটি বন্দরের কাছে হিজামক্রো নালায় একটি নৌকাডুবিতে এখনও পর্যন্ত ১৪ জন পাকিস্তানি মৎস্যজীবীর নিখোঁজ হওয়ার খবর রয়েছে। পাকিস্তানের নৌসেনা সেই নিখোঁজদের খোঁজে জোর তল্লাশি চালালেও, কোনও সাফল্য এখনও পায়নি। মনে করা হচ্ছে, এই ইস্যুতে খুব শিগগিরই পাকিস্তানের সরকার সম্ভবত ভারতের সাহায্য চাইতে পারে।
পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের মালির জেলার ইব্রাহিম হায়দর গ্রামে মূলত বসবাস মৎস্যজীবীদের। মৎস্যজীবী অধ্যুষিত এই গ্রামের একটি নৌকা সদ্য ডুবে যায় হিজামক্রো নালায়। গত ৫ মার্চ থাট্টার কেটি বন্দরের কাছে এই মর্মান্তিক কাণ্ড হয়। ঘটনায় ৩২ জন মৎস্যজীবীকে রক্ষা করা গিয়েছে। তবে ১৪ জনের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। নিরন্তর খোঁজের পরও ১৪ জনকে খুঁজে বের করতে পারছে না পাকিস্তান। এদিকে, পাকিস্তানের সংবাদপত্র দ্য ডনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের জনপ্রতিনিধি তথা পাকিস্তান পিপলস পার্টির আঘা রফিউল্লাহ জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে। এছাড়াও বিষয়টি সিন্ধের মুখ্যমন্ত্রী সইদ মুরাদ আলি শাহের কাছেও তুলে ধরেছেন রফিউল্লাহ। রফিউল্লাহ বলছেন, দুই নেতার কাছেই তিনি আর্জি জানিয়েছেন, যদি ভারতের থেকে সাহায্য নিয়ে ওই মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করা যায়, সেই বিষয়ে। ফলে মনে করা হচ্ছে, ইসলামাবাদ এই মানবিক কাজে দিল্লির দ্বারস্থ হতে পারে।
রফিউল্লাহ দাবি করেছেন, তাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আশ্বাস দিয়েছেন যে, তিনি এই ইস্যুতে ভারতের সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন। প্রশ্ন উঠতেই পারে যে, কেন বা কোন বিষয়ে ভারতের সাহায্য চাইচে পারে পাকিস্তান? উল্লেখ্য, হিজামক্রো নালায় স্রোতের জেরে ওই ১৪ পাক মৎসজীবীর দেহ ভারতের জলসীমায় এসে থাকতে পারে বলে অনুমান। সেক্ষেত্রে ভারত তার জলসীমা থেকে ওই মৎস্য়জীবীদের দেব উদ্ধার করে তা পাকিস্তানের হাতে তুলে দিতে পারে বলে আশা করছেন রফিউল্লাহ।
প্রসঙ্গত, সদ্য পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের টানাপেড়েনের মাঝে চিন থেকে করাচিগামী এক জাহাজ ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। ওই জাহাদে পরমাণু অস্ত্র সম্পর্কিত কোনও সন্দেহজনক বিষয় আছে বলে সন্দেহ করে ভারত। ফলে করাচিগামী জাহাজের চালান দেখে তাকে মুম্বই বন্দরে রোখা হয়। পরীক্ষা করে দেখেন ভারতের ডিআরডিওর বিশেষজ্ঞরা। বিষয়টি নিয়ে পাল্টা পাকিস্তানও তোপ দাগে দিল্লির দিকে।