ভয়াবহ ঘটনা মানালিতে। প্য়ারাগ্লাইডিং করতে গিয়ে মারাত্মক পরিণতি এক পর্যটকের। প্রায় ৫০০ ফুট উপর থেকে আছড়ে পড়লেন ওই পর্যটক। মৃত্যু হয়েছে তাঁর। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তি তাঁর বন্ধুর সঙ্গে প্যারাগ্লাইডিং করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওপরে ওড়ার সময় কোনওভাবে বিপত্তি বাঁধে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। তবে প্য়ারাগ্লাইডারের পাইলট নিরাপদেই নামতে পেরেছেন শেষ পর্যন্ত।
কুল্লুর এসপি গুরদেব শর্মা জানিয়েছেন, মৃত ব্যক্তির নাম সুরজ সঞ্জয় শাহ। ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। এই ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে এবারই প্রথম নয়। চলতি বছরে অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এই প্যারাগ্লাইডিং দুর্ঘটনার জেরে। গত ১৫ জুন ভয়াবহ ঘটনা হয়েছিল মানালিতে। সেদিন আমবালার বাসিন্দা এক পর্যটক ও রাইসন গ্রামের এক পাইলটের মৃত্য়ু হয়েছিল প্য়ারাগ্লাইডার দুর্ঘটনার জেরে। একেবারে মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছিল সেদিন।
এদিকে হিমাচল প্রদেশের কুলু জেলায় প্যারাগ্লাইডিং অত্যন্ত জনপ্রিয়। পর্যটকরা অনেকেই এই অ্য়াডভেঞ্চার স্পোর্টসে অংশ নিতে চান। কিন্তু এক্ষেত্রে সুরক্ষা অত্য়ন্ত জরুরী বিষয়। তবে পাখির চোখে মানালিকে দেখার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না তাঁরা। সেকারণে ঝুঁকি সত্ত্বেও অনেকেই প্যারাগ্লাইডিংয়ের মজা নিতে চান। তেমনি সুরজ নামে ওই পর্যটক বন্ধুর সঙ্গেই প্যারাগ্লাইডিং করছিলেন । সেই সময় আকাশ থেকে তিনি দেখছিলেন মানালিকে। আর তারপরই ভয়াবহ বিপত্তি। এই বিশেষ ধরনের প্যারাগ্লাইডিংয়ের ক্ষেত্রে সাধারণত পাইলট সহ দুজন যাত্রী চড়ে বসেন। এরপর তাঁরা আকাশ পথে সওয়ারি হন। পাখির চোখে দেখেন বাকি পৃথিবীকে। এই প্যারাগ্লাইডিং করতে গিয়ে কোনওভাবে সমস্যা তৈরি হয়েছিল।
তবে পাইলট ও অপর ব্যক্তি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। এদিকে এই ঘটনা চাউড় হতেই অন্য়ান্য পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
এদিকে উত্তরবঙ্গের একাধিক পর্যটনকেন্দ্রেও বর্তমানে অ্য়াডভেঞ্চার স্পোর্টস ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। দিঘাতেও রয়েছে অ্য়াডভেঞ্চার স্পোর্টসের ব্যবস্থা। কিন্তু সেই স্পোর্টসের ক্ষেত্রে সুরক্ষা বিধি মেনে না চললেই বিপত্তি হতে পারে যেকোনও সময়। এমনকী মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে পর্যটকদের। ঠিক যেমন হয়েছে মানালিতে।
এদিকে মানালির ঘটনায় দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সুরক্ষা বিধি আদৌ মানা হয়েছিল কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। বেড়াতে এসে করুণ পরিণতি হল ৩০ বছর বয়সী যুবকের।