যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে ধর্মের নামে হল হত্যা। বলি হলেন মুসলিম দম্পতি। হিন্দু তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মুসলিম যুবকের সেই অপরাধে যুবকের বাবা-মাকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উথল তরুণীর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরে। মৃতদের নাম হল আব্বাস এবং তাঁর স্ত্রী কামরুল নেশা। এই ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে বিবাদের জেরে আত্মীয়কে হাতুড়ি দিয়ে খুনের অভিযোগ নরেন্দ্রপুরে
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আব্বাসের ছেলে শওকতের সঙ্গে ওই তরুণী রুবির প্রেমের সম্পর্ক ছিল দীর্ঘদিন ধরে। ২০২০ সালে কিশোরের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলের আব্বাসের ছেলে। সেই সময় তরুণীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ যুবকের গ্রেফতার করেছিল। সেই মামলায় ছিলেন আব্বাসের ছেলে। পরে তিনি ছাড়া পান। এরপর জুন মাসে আবার ওই তরুণীকে নিয়ে আবার পালিয়ে যান এবং বিয়ে করে নেন। তবে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই যুবককে আবার গ্রেফতার করে। কয়েকদিন আগেই তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এই অবস্থায় তরুণীর পরিবারের আশঙ্কা ছিল ওই যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যেতে পারে তাদের মেয়ে। সে কারণে ভয় দেখানোর জন্য আব্বাসের পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালায় তরুণীর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, ঘটনায় আব্বাস এবং তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়। এই মামলায় মোট ৫ জন অভিযুক্ত। যার মধ্যে ৩ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুজনের খোঁজে চালানো হচ্ছে।
শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং আঙুলের ছাপ ও নমুনা সংগ্রহ করেছে। ঘটনাস্থলে যান পুলিশ সুপার চক্রেশ মিশ্র, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রকাশ কুমার, সিও সদর রাজু কুমার সাভ এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
এই পুরো বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার চক্রেশ মিশ্র ঘটনাস্থলে গিয়ে জানান, মারধরের ফলে দম্পত্তির মৃত্যু হয়েছে। পুরনো শত্রুতার জের এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার পরেই গ্রামে প্রচুর বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনায় তদন্তের জন্য।ম চারটি দল গঠন করা হয়েছে। অন্যদিকে, কিছুদিন আগে উত্তর প্রদেশের মথুরায় এক বৃদ্ধ দম্পতিকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও খুনের কারণ জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ওই দম্পতি জমি পাহারা দিতেন। সে ক্ষেত্রে জমি জায়গা নিয়ে বচসার জেরে খুন করা হতে পারে বলে অনুমান পুলিশের।