‘চাষিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে ভারত সরকার’। ‘শান্তিপূর্ণ এবং গণতান্ত্রিক বিক্ষোভকে ঘৃণা এবং উদাসীনতার সঙ্গে সামলানো হচ্ছে।’ এমনই দাবি করে পদ্মবিভূষণ ফিরিয়ে দিলেন শিরোমণি আকালি দলের নেতা এবং পঞ্জাবের পাঁচবারের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদল।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে চিঠি মেল করে জানিয়েছেন, কোন কোন কারণে ‘আঘাত' পেয়েছেন এবং ‘বিশ্বাসঘাতকতা’-এর অনুভূতি হয়েছে তাঁর। চিঠিতে তিনি লেখেন, 'সাধারণ কৃষক-সহ সাধারণ মানুষের জন্য আজ আমি এটা হতে পেরেছি। আজ যখন তিনি (কৃষক) নিজের সম্মানের থেকেও বেশি কিছু হারিয়েছেন, তখন পদ্মবিভূষণ সম্মান রেখে দেওয়ার কোনও যুক্তি দেখছি না আমি।'
তাঁর আক্ষেপ, বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার সুনিশ্চিত করার জন্য প্রবল শীতের মধ্যে কৃষকদের লড়াই করতে হচ্ছে। প্রকাশ সিং বাদলের পথে হেঁটে পদ্মবিভূষণ ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন শিরোমণি আকালি দলের (গণতান্ত্রিক) প্রধান তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুখদেব সিং।
এদিকে আপাতত রাজধানীর বিজ্ঞান ভবনে ৩৫ টি কৃষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে চতুর্থ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছেন তিনজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে হাজির আছেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর, বাণিজ্য এবং রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং বাণিজ্য মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সোমপ্রকাশ। যিনি পঞ্জাবের সাংসদ। নাম গোপন রাখার শর্তে কেন্দ্রের এক আধিকারিক বলেন, ‘এই সংস্কারের ফলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের উপর কোনও প্রভাব না পড়বে না। তাও সরকার কোনও প্রতিশ্রুতি বা আশ্বাস দিতে পারে যে সংস্কারের ফলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কোনও প্রভাব পড়বে না।’
একইসঙ্গে নয়াদিল্লিতে দূষণ রুখতে যে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল, তা ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিও তুলেছেন কৃষকরা। সেই অধ্যাদেশ অনুযায়ী, দূষণের জন্য কেউ দায়ী থাকলে তাঁকে এক বছরের কারাদণ্ড এবং এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে। কৃষকরাও সেই অধ্যাদেশের আওতায় পড়ছেন। যাঁরা শুকনো খড় পুড়িয়ে থাকেন। দ্বিতীয় আধিকারিক বলেন, ‘সেই পোড়ানোর বিষয়টি কমানোর জন্য পরিবেশ-বান্ধব প্রযুক্তির জন্য বেশি ভর্তুকির বিকল্পও আছে সরকারের সামনে।’