অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। একে তো পেটিএম কার্যত নানা দোলাচলের মধ্যে রয়েছে। তার মধ্য়েই এবার এক কর্মী নিজেকে শেষ করে দিলেন বলে খবর মিলেছে। মূলত পেটিএমকে ঘিরে তিনি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মধ্য়ে পড়ে গিয়েছিলেন। আগামী দিনে তিনি কী করবেন, চাকরি থাকবে কি না তা নিয়ে কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না। সেই পরিস্থিতিতে তিনি চরম পথ বেছে নেন। তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর কাজ চলে যেতে পারে এই আশঙ্কায় ভুগছিলেন তিনি। তারপরই তিনি চরম পথ বেছে নেন।
ইন্দোরে কর্মরত ছিলেন তিনি। পেটিএমের ফিল্ড ম্যানেজার হিসাবে কাজ করতেন তিনি। গৌরব গুপ্তা নামে ওই ফিল্ড ম্যানেজার আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর।
কিন্তু কেন তিনি এই চরম পথ বেছে নিলেন? সূত্রের খবর, তিনি আট বছর আগে বিয়ে করেছিলেন। তাঁর স্ত্রী ও দুই কন্যা রয়েছে। বাড়ি থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত্যুর পেছনে ঠিক কী কারণ রয়েছে সেটা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
মৃতের স্ত্রী আধিকারিকদের জানিয়েছেন, কাজের অনিশ্চয়তা নিয়ে মারাত্মক অবসাদে ছিলেন তিনি। কাজ চলে যেতে পারে এই আশঙ্কায় ভুগছিলেন। মনে করা হচ্ছে সেই ভয়ের জেরেই তিনি চরমপথ বেছে নেন।
ওই কর্মীর বয়স ছিল মাত্র ৩৫ বছর। কাজ চলে যেতে পারে এই আশঙ্কায় তিনি ভুগছিলেন। সেই সঙ্গেই তিনি মারাত্মক অবসাদের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন। সেই দুশ্চিন্তা থেকেই তিনি চরমপথ বেছে নেন। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে পেটিএমের বিভিন্ন শাখায় কর্মীদের মধ্য়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
এদিকে জানা গিয়েছে, পেমেন্টস ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে আরবিআই-এর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করার পরই সেই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে নথি চেয়ে পাঠায় ইডি। তদন্তকারীরা ওয়ান৯৭ কমিউনিকেশনসের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। পেটিএম আধিকারিকদের থেকে নথি জমা নিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদও করেন ইডির তদন্তকারীরা। তবে কাউকেই আটক করা হয়নি। এই আবহে হিন্দুর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ইডি তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অর্থ পাচার সংক্রান্ত কোনও অপরাধ পিপিবিএল-এর ক্ষেত্রে ঘটেনি। তাই অর্থ তছরুপের তদন্ত পেটিএম-এর বিরুদ্ধে করা যাবে না।
একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, একই প্যানকার্ডের সঙ্গে ১,০০০-এর বেশি গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত থাকা, লাগাতার গুরুত্বপূর্ণ নিয়মের লঙ্ঘন, ভুয়ো রিপোর্ট দাখিল, লাইসেন্সিং শর্তের চূড়ান্ত লঙ্ঘনের মতো কারণে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের উপর শাস্তির খাঁড়া নেমে এসেছে। এদিকে তাদের বিরুদ্ধে ইডি তদন্তের দাবি উড়িয়ে দিয়ে পেটিএম দাবি করেছে, অর্থ পাচারের মতো কার্যকলাপের সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত না সংস্থা বা কোম্পানির কোনও আধিকারিক।