স্নেহাশিস রায়
ইজরায়েলের এনএসও গ্রুপের পেগাসাস স্পাইওয়ার নিয়ে নানা চর্চা হয়েছে বিগত দিনে। এবার এক ভারতীয় সাংবাদিকের ফোনে এই পেগাসাস ব্যবহার করে আড়ি পাতা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, এক সাংবাদিকের আইফোন পর্যালোচনা করে এমন তথ্যই মিলেছে। গত অগস্ট মাসে তার ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে বলে খবর।
আনন্দ মাগনালে। তিনি গ্লোবাল গ্রুপ অফ ইনেভেসটিগেটিভ জার্নালিস্টস-এর সঙ্গে কর্মরত। প্রজেক্টের নাম অর্গানাইজড ক্রাইম অ্য়ান্ড কোরাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট। তিনিও তাঁর অ্যাপেল ফোনে একটি অ্য়ালার্ট পেয়েছিলেন। তবে শুধু তিনি একাই নন, একাধিক বিরোধী রাজনীতিবিদ অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা তাঁদের ফোনে এই ধরনের অ্য়ালার্ট পেয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ তাঁদের আইফোনেও আড়ি পাতা হয়েছিল। রাষ্ট্র পরিচালিত হ্যাকাররা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
তবে এই অ্যালার্টে সরাসরি কোনও সরকারি সংস্থাকে কাঠগড়ায় তোলা হয়নি। সেই সঙ্গে ভারত সরকারও এই ধরনের অভিযোগ মানতে চায়নি। গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্তে কথাও জানানো হয়েছিল।
এদিকে OCCRP সহ প্রতিষ্ঠাতা ড্রিউ সুলিভান সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে ওই সাংবাদিকের ফোনে একটা অন্য ধরনের ব্যাপার বোঝা গিয়েছে। যেটার সঙ্গে পেগাসাসের কিছুটা মিল রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক এনিয়ে মুখ খোলেননি। কেন্দ্রীয় আইটি মন্ত্রকও এনিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি বলে খবর।
এদিকে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়, সরকারি সংস্থার হাতে এই পেগাসাস বিক্রি করা হয়েছিল। মূলত সন্ত্রাস রুখতে এই আড়ি পাতার কথা। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফোনে আড়ি পাতার সুযোগ রয়েছে। কী ধরনের কথাবার্তা বলা হচ্ছে তা নিয়ে কিছুটা ইঙ্গিত মেলে। এদিকে সুলিভান সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, রাজনৈতিক লাভ ছাড়া এর পেছনে অন্য কোনও ব্যাখা থাকতে পারে না। এদিকে আই ভেরিফাই নামে এক কোম্পানি এই ফরেনসিক পরীক্ষা চালিয়েছিল বলে খবর। তাদের দাবি অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে ওই ফোনে পেগাসাস হানা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।