উৎকর্ষ আনন্দ
অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমক্রেটিক রিফর্মসের তরফে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল ইভিএমে যে ভোট গণনা হচ্ছে তার সঙ্গে ভেরিফায়েড পেপার অডিট ট্রেল( VVPAT) এর ট্য়ালি করে দেখতে হবে। অর্থাৎ দুটিতে প্রাপ্ত ভোট মিলিয়ে দেখার আবেদন। এতে আর কোনও ধন্ধ থাকবে না। অর্থাৎ ভিভিপ্যাটের ভোটের সঙ্গে ইভিএমের ভোটের সামঞ্জস্য রয়েছে কি না সেটা দেখার আবেদন করেছিল ওই এনজিও। কারণ বর্তমানে ইভিএমের ভোটের মাত্র ২ শতাংশ ভিভিপ্যাটের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়।
তবে এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট ভারতের নির্বাচন কমিশনের কাছে এনিয়ে জবাব চেয়েছে।
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বেলা এম ত্রিবেদী এডিআরএর আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণকে জানিয়েছেন, আপনারা একটু বেশি সন্দেহপ্রবণ। আমরা নিশ্চিত তারা এই সিস্টেম নিয়ে কাজ করছে। আগের একটি মামলায় কমিশন জানিয়েছিল তারা এনিয়ে কাজ করছে।
তবে প্রশান্ত ভূষণ জানিয়েছেন, বর্তমানে ২ শতাংশেরও কম ভোট ইভিএমের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়। তবে আদালত জানিয়েছে, কমিশনকে নানা বিষয় দেখতে হয়। তাছাড়া তাদের লোকজন কতটা রয়েছে সেটাও দেখতে হয় তাদের।
সেই সঙ্গেই বিচারপতিদের বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, একটি গরমিল হতে পারে। ( ইভিএম, ভিভিপিএট, ও বুথে যে রেজিস্টারে নাম নথিভুক্ত হয় তার সঙ্গে)। কারণ অনেকে সই করে বুথে ঢোকেন কিন্তু ইভিএম প্রেস করলেন না। আরও অনেক কারণ থাকতে পারে। কিন্তু আপনারা একটু বেশি সন্দেহপ্রবণ।
এর জবাবে আইনজীবী বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে ইভিএম হ্যাকড বা কারচুপি করা যায় না। কিন্তু আমরা চাই ভিভিপ্যাটের সঙ্গে ইভিএমের ভোট মিলিয়ে দেখা হোক।
তবে আদালত জানিয়েছে, ইলেকশন কমিশনকে এই আবেদনের একটি কপি দেওয়া হোক। এটা খতিয়ে দেখার জন্য় তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হচ্ছে। আমাদের মনে হয় ওদের কাছে উত্তর তৈরি রয়েছে।
সেই সঙ্গেই আদালত জানিয়েছে সেই ২০১৯ সাল থেকে এই ধরনের আরও আবেদন পড়ে রয়েছে। তবে এবার সব আবেদনকে এক জায়গায় এনে বিষয়টি পরের শুনানিতে হাজির করা হবে।
এর আগে তৃণমূল এমপি মহুয়া মৈত্র আবেদন করেছিলেন, চূড়ান্ত ভোটের ফলাফল ও ভোটের শতাংশ ৪৮ ঘণ্টার মধ্য়ে প্রকাশ করা হোক। কারণ এখন একটা প্রবণতা রয়েছে এটা বেশ দেরি করে প্রকাশ করা হয়।