দিল্লির মেজর ধ্যানচাঁদ স্টেডিয়ামে এদিন বালক বালিকাদের সমবেত কণ্ঠে উঠে আসে কীর্তন। আর সেই অনুষ্ঠানে এদিন অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ‘বীর বাল দিবস’ উপলক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানে ৩০০ গায়ক গায়িকা অংশ নিয়েছিল। বালক বালিকারা সকলে মিলে ‘শবদ কীর্তন’এর সুরের মুচর্ছনায় অংশ নেন। এই ঐতিহাসিক সমারোহে একাধিক আদানপ্রদানধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গোটা দেশে ‘বীর বাল দিবস’ উপলক্ষ্যে সাহেবজাদা বাবা জোরাওয়ার সিংজি ও বাবা ফতেহ সিংজির সাহস ও মহাপরাক্রমের গাথা ছড়িয়ে দিতে এই বিশেষ দিনের আয়োজন করা হয়। এর আগে, ২৬ ডিসেম্বর শ্রী গুরুরগোবিন্দ সিংয়ের প্রকাশ পরব উপলক্ষ্যে এই বিশেষ দিনের ঘোষণা করেন নরেন্দ্র মোদী। উল্লেখ্য, শ্রী গুরুরগোবিন্দ সিংয়ের সন্তান বাবা জোরাওয়ার সিংজি ও বাবা ফতেহ সিংয়ের মহাপরাক্রমকে স্মরণ করেই এই বিশেষ দিবস পালিত হচ্ছে দেশ জুড়ে। নরেন্দ্র মোদী এদিন নিজে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তিনি এক টুইটে লেখেন, ' বীর বাল দিবস উপলক্ষ্যে আমরা সাহেবজাদা ও মাতা গুজরিজির সাহসকে স্মরণ করি। আমরা স্মরণ করি গুরু গোবিন্দ সিংজির সাহসকেও। '
শিশুদের কেন্দ্র করে নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এইদিন। আয়োজনের অংশ হিসাবে উঠে আসে, কুইজ প্রতিযোগিতা, রচনা লেখার প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়। এছাড়াও স্কুল ও কলেজে নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গোটা দেশের নানান স্কুল ও কলেজে নানান ধরনের অনুষ্ঠান পালিত হয়। এছাড়াও রেল স্টেশন, পেট্রোল পাম্পে ডিজিটাল প্রদর্শনীর মাধ্যমেও দিনটিকে তুলে ধরা হয়। দেশের বিভিন্নপ্রান্তে এমন অনুষ্ঠান তুলে ধরা হয় যেখানে, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা সাহেবজাদাদের জীবনী তুলে ধরবেন।