নীরজ চৌহান
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর জামাই রবার্ট ভদ্র ও মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র হরিয়ানা বিপুল জমি কিনেছেন বলে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে। দিল্লি রিয়েল এস্টেট এজেন্সির মাধ্যমে এই জমি কেনা হয়েছে বলে খবর। এনআরআই ব্যবসায়ী সিসি থাম্পির কাছেও ওই এজেন্সি জমি বেচেছে বলে খবর। এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের তরফে এই দাবি করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে রবার্ট ভদ্র ও থাম্পির মধ্য়ে দীর্ঘদিনের একটা সম্পর্ক রয়েছে। তাদের মধ্য়ে বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে। আর তা থেকে তাদের মধ্য়ে ব্যবসাগত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বলেও খবর।
এদিকে গা ঢাকা দেওয়া অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভান্ডারির বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে। একাধিক এজেন্সি তার বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে। মূলত আর্থিক প্রতারণা, বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংক্রান্ত তছরূপকাণ্ড, কালো টাকা সংক্রান্ত ব্যাপারে ও অফিসিয়াল সিক্রেট অ্য়াক্ট অনুসারে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। তিনি ২০১৬ সালে ভারত থেকে ইউকে-তে পালিয়ে যান। ভান্ডারির সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ উঠেছিল থাম্পির বিরুদ্ধেও। সেই সঙ্গে ব্রিটিশ নাগরিক সুমিত চড্ডার বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে।
তবে ইডি আগেই রবার্ট ভদ্রের নাম চার্জশিটে উল্লেখ করেছিল। থাম্পির সঙ্গে সম্পর্কিত একটা মামলায় তার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। আর এবারই প্রথম আদালতে পেশ করা কোনও নথিতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নাম উল্লেখ করা হল।
গত নভেম্বর মাসে এই চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল। এস্টেট এজেন্ট এইচ এল পাহোয়া রবার্ট ভদ্র ও থাম্পিকে সম্পত্তি বেচেছিল। পাহোয়া প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে ২০০৬ সালে কৃষি জমিও বিক্রি করেছিল। আবার ২০১০ সালে সেই জমি তার কাছ থেকে কিনেও ফেলা হয়েছে। দাবি এজেন্সির।
তবে এটা নিশ্চিত করে বলা যায়, রবার্ট ভদ্র ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নাম কোথাও অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করা হয়নি। থাম্পি ও ভদ্রের মধ্য়ে জমি সংক্রান্ত একটা লেনদেন হয়েছিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার এজেন্সির তরফে একটা প্রেস রিলিজে উল্লেখ করা হয়েছিল, তদন্তে দেখা গিয়েছে, সিসি থাম্পি ও রবার্ট ভদ্রের মধ্য়ে একটা দীর্ঘদিনের ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।