রেস্তোরাঁয় ড্রাই আইস মিশ্রিত মাউথ ফ্রেশনার খেতেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ৫ জন। রক্ত বমি হওয়ায় তাদের ভরতি করা হয়েছিল হাসপাতালে। যার মধ্যে এক মহিলাকে স্টেরয়েড দিয়ে রাখা হয়েছিল। তিনি ৫ দিন পর্যন্ত কিছুই খেতে পারেননি। গুরুগ্রামের সেই ঘটনায় রেস্তোরাঁর ম্যানেজার এবং এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে বাকি কর্মীরা এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ মাউথ ফ্রেশনার খেয়েই মুখ থেকে উঠল রক্ত, শুরু বমি! রেস্তোরাঁয় অসুস্থ ৫ জন, কী ছিল?
ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২ মার্চ। ওইদিন গুরুগ্রামের সেক্টর ৯০-র একটি রেস্তোরাঁয় খেতে ৫ জন। সেখানে নৈশভোশ সারেন। তারপর তাঁদের জন্য মাউথ ফ্রেশনার নিয়ে আসেন একজন ওয়েটার। প্রত্যেকেই মাউথ ফ্রেশনার খান। আর তারপরেই ঘটে বিপত্তি। তারা প্রত্যেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারা বমি করতে শুরু করেন। আর বমির সঙ্গে রক্ত বের হতে শুরু করে। মুখে ও পেটে প্রচণ্ড ব্যাথা হতে থাকে। ঘটনায় তাদের হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরে জানতে পারেন মাউথ ফ্রেশনারে ড্রাই আইস ব্যবহার করা হয়েছিল। এই ঘটনায় তারা থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। পরে পুলিশ রেস্তোরাঁর ম্যানেজার এবং ড্রাই আইস পরিবেশনকারী ওয়েটারকে গ্রেফতার করে। বাকিদের খোঁজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
একজন ভুক্তভোগী সেই দিনের ঘটনার কথা বিবরণ করে নিজের সোশ্যাল মাধ্যমে শেয়ার করেন। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, একটি রেস্তোরাঁর অবহেলার কারণে তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত।
এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মাধ্যমে শেয়ার করতেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৮০ লক্ষ ভিউ হয়। পোস্টটিতে অসংখ্য লাইক ও কমেন্টও রয়েছে। অনেকেই পোস্টের কমেন্টবক্সে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
একজন নেটিজেন লিখেছেন, ‘রেস্তোরাঁটি বন্ধ করা প্রয়োজন এবং এর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’ আর একজন লিখেছেন, ‘যে এমন কাজ করেছে তাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রেফতার করা উচিত। এটি খুবই গুরুতর এবং উপেক্ষা করা উচিত নয়। আমি আশা করি সকলেই এখন সুস্থ আছেন। কমেন্টে আর একজন লিখেছেন, ‘ড্রাই আইস যে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে এই ঘটনা। অবিলম্বে সমস্ত রেস্তোরাঁয় ড্রাই আইস নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিত।’