অর্থনীতির দোহাই দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সময় বাড়াচ্ছে ব্রিটেন৷ দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান বলেন, ব্রিটেনের জনগণকে দেউলিয়া করে পৃথিবী বাঁচাতে চায় না তার সরকার৷
সুয়েলা ব্রেভারম্যান স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘নেট জিরো' বা কার্বন নির্গমন শূন্যের কোটায় আনার লক্ষ্য বাস্তবায়নে তাদের আরও বাস্তবমুখী হতে হবে৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রেভারম্যান বলেন, ‘আমাদের বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা করতে হবে, যা ভারসাম্যপূর্ণ ও লক্ষ্যও পূরণ করে এবং আমরা এই পৃথিবী বাঁচাতে গিয়ে ব্রিটিশ জনগণকে দেউলিয়া করতে পারবে না৷'
পৃথিবীর বড় অর্থনীতিগুলোর মধ্যে ব্রিটেনের প্রথম, যারা ২০৫০ সালের মধ্যে ‘নেট জিরো' অর্জনের আইনি বাধ্যবাধকতা তৈরি করেছে৷ তারা গত কয়েক বছরে পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন ক্ষমতাও বাড়িয়েছে৷
তবে সুনাক সরকারের আমলে সম্প্রতি কার্বন নির্গমন কমানোর বিভিন্ন উদ্যোগে কিছুটা ভাটা পড়েছে৷ জীবনমানের খরচ বাড়ায় পরিবহণ থেকে শুরু করে বাড়ির হিটিং থেকে কার্বন নির্গমন কমানোর উদ্যোগগুলোর যে বিনিয়োগ সেখানে স্থবিরতা এসেছে৷
আগামী বছর নির্বাচনকে সামনে রেখে সুনাক কতগুলো ‘গ্রিন পলিসি'-তে খরচ কমাচ্ছেন৷ লক্ষ্য সুইং বা দোদুল্যমান ভোটারদের আকর্ষণ করা৷ কয়েকদিন আগেও যেখানে ব্রিটেন জলবায়ু পরিবর্তন রোধে নিজেদের বিশ্বের নেতা বলে দাবি করত, এই নীতি তাদের সেখান থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে৷
সুনাক যেসব বিষয়ে নীতির পরিবর্তন আনতে পারেন তার একটি হলে পেট্রোল ও ডিজেল গাড়ি নিষিদ্ধ করার সময় ২০৩০ থেকে ২০৩৫ করা৷ এই বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও লক্ষ্য ২০৩৫ সাল।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)