রবিবার কোচির একটি ধর্মীয় সম্মেলনে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে তিন। এদিকে প্রায় ৫০ জন জখম হয়েছেন সেই বিস্ফোরণে। তাদের চিকিৎসা চলছে কোচির বিভিন্ন হাসপাতালে। এই আবহে সেই জখম মানুষদের দেখতে হাসপাতালে পৌঁছলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। উল্লেখ্য, তিনি নিজে কোচির মানুষ। সেখানেই তাঁর জন্ম, বেড়ে ওঠা। এই আবহে গতকাল কালামাসেরি মেডিক্যাল কলেডে যান বোস। এদিকে এই বিস্ফোরণ নিয়ে রাহুল গান্ধীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। উল্লেখ্য রাহুল নিজে কেরলের ওয়ানাড়ের সাংসদ। এই আবহে এত বড় ঘটনায় রাহুল কোনও বক্তব্য পেশ না করায় কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা। (আরও পড়ুন: অন্ধ্র রেল দুর্ঘটনায় বাড়ল মৃতের সংখ্যা, মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ ঘোষণা রেলমন্ত্রীর)
অনুরাগ ঠাকুর বলেন, 'বাইরে থেকে এসে ভারতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা চলছে। এরা কারা? আমি কেরলের এই বিস্ফোরণের নিন্দা জানাচ্ছি কড়া ভাষায়। তবে এই ঘটনায় এখনও নীরব রাহুল গান্ধী। তিনি কেরলের থেকেই নির্বাচিত সাংসদ। এতেই বোঝা যাচ্ছে, কংগ্রেস এই বিশৃঙ্খলা তৈরি করা মানুষদের সমর্থন করছে। কংগ্রেসের পাশাপাশি সিপিএমও এই মানুষদের নীরবে সমর্থন করে চলেছে। আর তাই এদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষের করা হচ্ছে না।' পরে অবশ্য রবিবার সন্ধ্যায় রাহুল গান্ধী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে এই বিস্ফোরণের ঘটনাকে 'গভীর উদ্বেগের বিষয়' বলে আখ্যা দিয়েছেন। সঙ্গে রাহুল আরও লেখেন, 'মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আমি আশা করছি যারা জখম হয়েছেন, তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। সভ্য সমাজে হিংসার কোনও স্থান নেই। সরকারের উচিত এই নিয়ে তদন্ত করা এবং সুবিচার নিশ্চিত করা।'
এদিকে জানা গিয়েছে, গতকাল গভীর রাতে এই দুর্ঘটনায় জখম হওয়া এক ১২ বছর বয়সি শিশু কন্যার মৃত্যু হয়। সে এর্নাকুলাম সরকারি হাসপাতালে ভরতি ছিল। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল এই বিস্ফোরণে। এই নিয়ে মোট ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এই বিস্ফোরণে। এদিকে ইতিমধ্যেই এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে ত্রিশূর থানায় গিয়ে এক ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করেছেন। তার নাম ডমিনিক মার্টিন। তার দাবি সে নিজেই টিফিনবক্সে বিস্ফোরক ভরে ওখানে রেখেছিল। কালামাসেরির ঘটনা নিয়ে কেরলের অতিরিক্ত ডিজিপি অজিত কুমার জানিয়েছেন, সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিস্ফোরণের খবর পেয়েই কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রের তরফে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় এই ঘটনায়।