প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভর ভারত। ভারত আজ আর বিদেশ থেকে সেভাবে অস্ত্র আমদানি করে না। দেশ এখন অস্ত্র রফতানি করে বিদেশে। শক্তিধর ভারত। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ভারতীয় বায়ুসেনা এবার হিন্দুস্তান অ্য়ারোনটিকাল লিমিটেডের কাছে ১৫৬টি প্রচন্ড লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারের অর্ডার দিতে পারে। তার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
এই চপারগুলি পূর্ব ও পশ্চিম সেক্টরে মোতায়েন করা হবে। ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স ও ভারতীয় সেনা এগুলি মোতায়েন করবে। মূলত চিন ও পাকিস্তান সীমান্তে শক্তির মাত্রা আরও বৃদ্ধি করতে ভারতের এই পরিকল্পনা। ভারতের তৈরি হেলিকপ্টারই মোতায়েন করা হবে সীমান্তে। কাঁপবে শত্রু।
যেকোনও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এগুলি কাজ করতে পারে। ১৫টি চপার ইতিমধ্যেই কাজ করছে। সংবাদ সংস্থাকে এক প্রতিরক্ষা আধিকারিক জানিয়েছেন, অন্তত ১৫৬টি প্রচন্ড চপার কেনার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। তবে এর আগেই এনিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এয়ার চিফ মার্শাল ভি আর চৌধুরী। তিনি জানিয়েছিলেন, ১০০টি লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট কেনার ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে।
এই দুটি প্রকল্প মিলিয়ে প্রায় ১.৫ লাখ কোটি টাকা খরচ হতে পারে। এই চপারগুলির মধ্যে বায়ুসেনার হাতে থাকবে ৬৬টি আর ৯০টি নিজেদের হাতে রাখবে সেনা।
পুরোপুরি ভারতীয় প্রযুক্তি ও ভারতীয় যন্ত্রপাতি দিয়ে তৈরি এই চপার। এটা হল বিশ্বের একমাত্র যুদ্ধ হেলিকপ্টার যেটা ৫০০০ মিটার উচ্চতা থেকে উড়তে পারে। সেক্ষেত্রে সিয়াচেন ও পূর্ব লাদাখে এগুলি কাজ করতে পারে। কার্গিল যুদ্ধের সময় এর প্রয়োজনীয়তা বোঝা গিয়েছিল। পাহাড়ি এলাকায় কাজ করতে সমর্থ এই চপার।
এই ধরনের চপার আকাশ থেকে ভূমিতে মিসাইল ছুঁড়তে পারে। আকাশ থেকে আকাশেও মিসাইল ছুঁঁড়তে পারে। পাহাড়ের চূড়ায় শত্রুঘাঁটি উড়িয়ে দিতে এই চপারের সঙ্গে যুক্ত থাকা মিসাইলের জুড়ি মেলে না। সেই চপারই কিনতে চাইছে ভারত।