সপ্তর্ষি দাস
মহিলা সংরক্ষণ বিল বা নারী শক্তি বন্দন অ্য়াক্ট বৃহস্পতিবার কার্যত আইনে পরিণত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এই সংবিধান সংশোধনী বিলে সই করেছেন। এই নয়া ব্যবস্থার মাধ্য়মে লোকসভা ও বিধানসভায় ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ করা যাবে। তবে এই আইন তখনই ফলপ্রসূ হবে যখন জনগণনা ও খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। সেটা বাস্তবে করতে গেলে মোটামুটি ২০২৯ সালের লোকসভা ভোট হয়ে যেতে পারে।
সরকারি নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ এই সংসদীয় অ্য়াক্টে সম্মতি জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এর আগে বৃহস্পতিবার উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় সম্মতি জানিয়েছিলেন। এরপর সেটা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছিল। এদিকে রাষ্ট্রপতি সই করার পরে এটা এবার দেশের আইন হিসাবে গণ্য করা হল।
প্রায় সর্বসম্মতিক্রমে এই বিল পাস করা হয়েছিল। লোকসভা ও রাজ্য সভায় এর সম্মতি মিলেছিল। এই মাসের প্রথম দিকে সংসদের বিশেষ অধিবেশনে এই সম্মতি মিলেছিল। পাস হয়েছিল এই বিল।
তবে এই বিলে সম্মতি জানানোর পরেও ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে একাধিক রাজনৈতিক দল দাবি করেছিল এটা আসলে বিজেপির একটা চমক। এটাকে নির্বাচনী জুমলা বলেও উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত এটা আইনে পরিণত হল।
তবে রবিবার কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘাওয়াল বিরোধীদের একহাত নেন। তিনি স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছিলেন ২০২৬ সালের পরেই এই বিল লাগু করা হতে পারে। যে কোনও সময় এটা লাগু হতে পারে ২৬ এর পরে। বিধানসভা ও লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরে ও জনগণনার পরেই এটা লাগু হতে পারে। তবে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকার সময় এই বিল নিয়ে কিছু করেনি।
এদিকে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর এই দাবি প্রসঙ্গে কংগ্রেস মুখপাত্র স্বর্ণিম চতুর্বেদী জানিয়েছিলেন, ইউপিএর আমলে বিজেপি ও তার সহযোগীরা এই বিলের বিরোধিতা করত। প্রসঙ্গত গত ২০ সেপ্টেম্বর এই বিলের পক্ষে ৪৫৪টি ভোট পড়েছিল। মিম ২টি ভোট এর বিপক্ষে দিয়েছিল।