বুধবার উত্তরপ্রদেশের কুশীনগর এয়ারপোর্টের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্ততপক্ষে ৮টি বৌদ্ধ তীর্থক্ষেত্রের মধ্যে সহজ যোগাযোগ স্থাপন করবে এই বিমানবন্দর। ১০০জন বৌদ্ধ সাধককে নিয়ে শ্রীলঙ্কা থেকে আসা প্রথম বিমান কুশীনগর এয়ারপোর্টের মাটি স্পর্শ করল। মোদী জানিয়েছেন, এই পবিত্র মাটিকে সম্মান জানাতে প্রথম বিমান এসেছে।
বৌদ্ধধর্মের কাছে অত্যন্ত পবিত্র তীর্থভূমি এই কুশীনগর। কথিত আছে এই কুশীনগরেই মহিপরিনির্বাণ লাভ করেছিলেন গৌতম বৌদ্ধ। সেই মাটিতেই খুলে দেওয়া হল এয়ারপোর্টের দরজা। মোদী জানিয়েছেন, বহু দিনের আশা ও আকাঙ্খার প্রতীক এই বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দর চালু হয়ে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই বিমানবন্দর কপিলাবাস্তু, সারনাথ, বৌদ্ধগয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে। এর সঙ্গেই লাওস, কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, জাপান, ইন্দোনেশিয়া থেকেও মানুষ এখানে আসতে পারবেন। পাশাপাশি মোদী জানিয়েছেন, ধর্ম ও অর্থনৈতিক বিকাশের নয়া দিশা দেখাবে এই বিমানবন্দর। কৃষক, শিল্পোদ্যোগী ও অন্যান্য পেশার মানুষও এই বিমানবন্দরের মাধ্যমে উপকৃত হবেন।
মোদী জানিয়েছেন, আস্থাই হোক বা আনন্দ, আধুনিক পরিকাঠামো ব্যবস্থা গড়ে তোলা অত্যন্ত দরকার। ৯ শতাধিক নতুন রুটে আকাশপথে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। মধ্যবিত্ত ও সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখা হচ্ছে এই বিমান পরিষেবা। মোদী বলেন, উত্তরপ্রদেশে নতুন ৯টি বিমানবন্দর হয়েছে। অযোধ্যা, আজমগড়, মোরাদাবাদ, আলিগড়ে নতুন এয়ারপোর্ট করা হবে। এয়ার ইন্ডিয়ার পদক্ষেপ বিমান পরিষেবায় নতুন শক্ত যোগাচ্ছে, দাবি প্রধানমন্ত্রীর।