সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশে বেশ কয়েক বার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের সরকার ও সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি আমেরিকার মানবাধিকার সংক্রান্ত প্রকাশিত একটি রিপোর্টেও বাংলাদেশে বেড়ে চলা ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তাছাড়া কিছু দিন আগেই বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার এক বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। এই আবহে দেশবাসীকে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা করতে আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার ৫ জুনঢাকারওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভারচুয়ালি যোগ দেন। এই অনুষ্ঠানেই বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গড়ে ওঠা একটি দেশ। এই দেশে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা আছে। কেউ যেন কারও ধর্মীয় আবেগে আঘাত না করেন।
বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী সাম্প্রতিক কালে বেশ কয়েকটি ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার ঘটনা সামনে এসেছে। কিছু দিন আগেই বাংলাদেশের নরাইল অঞ্চলে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা করা হয়। এই ঘটনায় দুই প্রধান অভিযুক্ত শাসক দল আওয়ামি লিগের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ। এদিকে,সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসলাম নিয়ে মন্তব্য করার অভিযোগে হিন্দু স্কুলশিক্ষককে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে চট্টগ্রামের আদালত। পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় তার। ওই টাকা দিতে না পারায় তাঁকে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ বিচারকের।
পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে এই ধরনের ঘটনায় লাগাম টানতেই এই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামি লিগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।