পাবজি খেলতে গিয়ে প্রেমে পড়েছিলেন। এরপর প্রেমের টানেই নেপাল হয়ে বেআইনি ভাবে ভারতে এসেছিলেন। ধরাও পড়েন। তিনি সীমা হায়দার। তবে এখন তিনি নিজেকে আর পাকিস্তানি হিসেবে পরিচয় দিতে চান না। সম্প্রতি জামিনে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন সীমা। ছাড়া পেয়েছেন তাঁর প্রেমিক সচিন মীনাও। ফের একবার মিলিত হয়েছেন তাঁরা। এই আবহে সীমা জানান। তিনি এখন ভারতীয়। পাশাপাশি তাঁর দাবি, গত মার্চে নেপালে দু'জনে বিয়ে করেছিলেন। তারপর থেকেই তিনি সচিনের ধর্ম গ্রহণ করেছেন। এমনকী তাঁর চার সন্তানও সচিনকে 'বাবা' বলে সম্বোধন করে বলে জানান সীমা।
উল্লেখ্য, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ নয়ডার জেল থেকে ছাড়া পান সীমা গুলাম হায়দার। একই সময় ছাড়া পান সচিন মীনা। তখন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছিল। জেল থেকে বেরিয়ে একে অপরকে দেখেই জড়িয়ে ধরেন তাঁরা। সচিনের দাদা তাঁদের নিয়ে যেতে জেলের সামনে এসেছিল স্যান্ট্রো গাড়িতে করে। উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই গৌতম বুদ্ধ নগর পুলিশ সীমাকে গ্রেফতার করেছিল অবৈধ ভাবে দেশে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগে। এদিকে সচিন ও তাঁর বাবাকে গ্রেফতার করা হয় অনুপ্রেবেশকারী আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে। সীমা ও সচিন, দু'জনই দাবি করেন, 'গদর' সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন তাঁরা।
জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সীমা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, 'আমি সচিনকে ছাড়া বাঁচতে পারি না। এবং যেহেতু তিনি আমার স্বামী, আমি তাঁর ধর্ম ও সংস্কৃতিকে নিজের বলে মেনে নিয়েছি। এবং আমার চার সন্তানের নামও পরিবর্তন করেছি। তারা সচিনকে বাবা বলে ডাকে এখন। সচিনের বাবা-মাও আমাকে গ্রহণ করে নিয়েছেন। এবং আমি তাদের সমস্ত সাংস্কৃতি গ্রহণ করেছি। তাঁদের সঙ্গেই আমি থাকব।' এদিকে সচিনের প্রেমে পড়া নিয়ে সংক্ষেপে সীমা বলেন, 'আমি পাবজি খেলার সময় অনেক অপরিচিত লোকের সাথে অনলাইনে কথা বলতাম। কারণ আমি মাইক চালু রাখতাম। এভাবেই আমার সচিনের সাথে পরিচয় হয় এবং আমরা চ্যাটবক্সে কথোপকথন শুরু করি। আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা খেলতাম। এমনকি চার ঘণ্টাও একনাগাড়ে কথা বলে যেতাম। প্রায় চার মাস পর, আমরা ফোন নম্বর আদান প্রদান করি। এরপর ভয়েস এবং ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু করি। আমরা ২০২১ সালের জানুয়ারি একে অপরের প্রতি আমাদের ভালবাসার কথা প্রকাশ করেছিলাম।'