আর বসুদেবা
পাঞ্জাবে রাজ্যপাল বনাম রাজ্য সংঘাত চরমে উঠেছে। এর আগে রাজ্যপাল বানোয়ারিলাল পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে প্রশ্ন করেছিলেন, চিঠির উত্তর দিন না হলে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের জন্য প্রস্তুতি হোন। এদিকে এরপরই কার্যত তেড়েফুঁড়ে পালটা তোপ দেগেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা ভগবন্ত মান। তাঁর সাফ কথা, পাঞ্জাবিদের ধৈর্য নিয়ে পরীক্ষা করবেন না।
চন্ডীগড়ে একটি প্রেস কনফারেন্সে কার্যত তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, এভাবে পাঞ্জাবিদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না। রাজ্যপাল বার বার বলছেন হুমকি দিচ্ছেন তিনি রাষ্ট্রপতি শাসনের জন্য সুপারিশ করবেন। পাঞ্জাবের সাধারণ মানুষ যে রায় দিয়েছে তা নিয়ে মজা করছেন রাজ্যপাল।
মুখ্য়মন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা বলে তিনি ৩.৫ কোটি পাঞ্জাবিকে অপমান করছেন। তিনি শান্তিপ্রিয় ও পরিশ্রমী পাঞ্জাবিদের নিয়ে মজা করছেন। সেই পাঞ্জাবি যারা গোটা দেশের ঐক্যরক্ষার জন্য আত্মত্যাগ করেন। যারা খাদ্যশস্যের উৎপাদন করে ভারতকে সমৃদ্ধ করেছে।
তিনি জানিয়ে দেন, ৩৫৬ ধারা নিয়ে আমরা ভয় পাই না। পাঞ্জাব বার বার এই ধারার অপব্যবহার দেখেছে। আমি এই হুমকির কাছে মাথা নত করতে চাই না। আমি আমার রাজ্যে মানুষের স্বার্থ নিয়ে কোনওদিন আপোস করব না।
মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন, চাপের মুখে পড়ে রাজ্যপাল এই চিঠি লিখেছেন। কিন্তু এই চিঠির মাধ্য়মে তিনি রাজ্যের মানুষকে অপমান করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, একজন মনোনীত রাজ্যপালের কোনও অধিকার নেই কোনও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে অপমান করার। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে তিনি অপমান করতে পারেন না। তিনি সংবিধানের অপমান করেছেন বলে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে রাজ্যপাল চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, মুখ্য়মন্ত্রী চিঠির উত্তর না দিলে তিনি ফৌজদারি ব্যবস্থা নেবেন। তাঁর মতে, রাজ্যের সাংবিধানিক ব্যর্থতা দেখা যাচ্ছে। রাষ্ট্রপতির কাছে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের সুপারিশ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনি এই চিঠি পাঠাচ্ছেন বলেও জানিয়েছিলেন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে তোপ দাগেন।