রাহুল গান্ধীর সংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে মোটামুটি নিয়ম অনুসারে আগামী ৮ বছর আর সংসদ ভোটে লড়তে পারবেন না রাহুল গান্ধী। তবে এটা থেকে বাঁচার পথও রয়েছে। বৃহস্পতিবার আদালত রাহুল গান্ধীকে দুবছরের জন্য কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। পরে অবশ্য় তিনি জামিন পেয়ে যান। সুরাট কোর্ট তাঁকে দুবছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। ২০১৯ সালের একটি মানহানি মামলা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। মোদীর পদবি নিয়ে আপত্তিকর শব্দ বলেছিলেন বলে অভিযোগ। এরপর তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
রাহুল জানিয়েছিলেন, কেন সব চোরেদের পদবি মোদী হয়? কর্নাটকের কোলারে একটি নির্বাচনী সভায় তিনি একথা বলেছিলেন।
এবার সেই মামলায় রায়দানের পরে রাহুল গান্ধীর সংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের সেকশন ৮(৩) অনুসারে যদি কোনও ব্যক্তিকে অপরাধী বলে সাব্যস্ত করা হয় আর তাকে দুবছরের বেশি সময়ের জন্য কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয় তবে সেই রায়দানের দিন থেকে তার সংসদ পদ খারিজ করা হয়। সেক্ষেত্রে তাঁকে ৬ বছরের জন্য এই সংসদ পদ খারিজ করা হয়। সেক্ষেত্রে এবার কী করতে পারেন রাহুল গান্ধী?
সূত্রের খবর, এই দীর্ঘ সময়ের জন্য সংসদ পদ খারিজ করা থেকে বাঁচতে গেলে তাঁকে অবিলম্বে এই রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করতে হবে। এই নির্দেশে স্থগিতাদেশের জন্য তাকে আবেদন করতে হবে। সেক্ষেত্রে এই আবেদনের ভিত্তিতে স্থগিতাদেশ না এলে রাহুল গান্ধী মোটামুটি আগামী আট বছরের জন্য আর ভোটে লড়তে পারবেন না।
তবে এর আগে সেকশন ৮(৪)অনুসারে কোনও এমএলএ বা এমপি যদি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরেও তিন মাসের মধ্যে আবেদন করতেন তবে তিনি তার পদে থেকে যেতে পারতেন। কিন্তু ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট এই তিন মাসের সময়সীমাটা বাদ দিয়ে দিয়েছে।
এদিকে রাহুল বর্তমানে সেশন কোর্টে এই রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। সেটা না হলেও তিনি হাইকোর্টেও আপিল করতে পারেন। এর সঙ্গেই তিনি ওই রায়ের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের জন্য আবেদন করতে পারেন।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শুধু রায়ের উপর স্থগিতাদেশ হলেই যে তিনি সাংসদ পদ খারিজ হওয়া থেকে বেঁচে যাবেন এমনটা ঠিক নয়, তার কারাদন্ডের নির্দেশের বিরুদ্ধেও স্থগিতাদেশ দরকার। না হলে তাঁর পক্ষে সংসদ পদ ফিরে পাওয়াটা কষ্টকর।