নির্বাচনী বন্ডকে সদ্য সুপ্রিম কোর্ট অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেছে। এদিকে, সেই নির্বাচনী বন্ড ইস্যুতে এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশের শীর্ষ আদালতের নাম না করে মোদী বলেছেন, এই ঘটনায় ‘সবাই আফসোস করবেন, দেশকে কালো টাকার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।’ এদিকে মোদীর বক্তব্যের পরই পাল্টা জবাব এসেছে রাহুল গান্ধীর তরফে।
কংগ্রেসের ওয়েনাদের প্রার্থী রাহুল গান্ধী বলছেন, নির্বাচবনী বন্ড হল ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় তোলাবাজির স্কিম, আর প্রধানমন্ত্রী মোদী তার মাস্টারমাইন্ড(মূলচক্রী)। প্রধানমন্ত্রীকে ব্যাখ্যা করতে বলুন, একদিন সিবিআই তদন্ত শুরু হল, আর তারপরই তারা (বিজেপি) টাকা পেতে থাকল। আর ঠিক তার পরেই সিবিআই তদন্ত বন্ধ হয়ে গেল। বড় কন্ট্রাক্ট, পরিকাঠামোগত কন্ট্রাক্ট…. সংস্থা টাকা দেয় এবং তার পরপরই তাদের চুক্তি দেওয়া হয়।’ বিষয়টিকে আরও ব্যাখ্যা করে রাহুল বলেন, ‘ ইলেক্টোরাল বন্ডে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল -- নাম এবং তারিখ। নাম ও তারিখ দেখলেই বুঝবেন তারা (দাতারা) কবে নির্বাচনী বন্ড দিয়েছেন।’ কংগ্রেসের এই যুব নেতা বলেন,' ঠিক সেই চুক্তির পরেই তাদের দেওয়া হয়েছিল বা তাদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত প্রত্যাহার করা হয়েছিল।' রাহুল তার কটাক্ষবাণ শানিয়ে বলছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ধরা পড়ে গিয়েছেন, তাই তিনি এএনআইকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।’
( Modi praises ED Video: ইডির প্রশংসায় মোদী, বললেন '৯৭ শতাংশ মামলায় রাজনীতির যোগ নেই')
এর আগে এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদী বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম আমরা কিছু চেষ্টা করব, কীভাবে আমাদের নির্বাচন এই কালো টাকা থেকে মুক্ত হবে, কীভাবে স্বচ্ছতা আসবে?’ তা নিয়ে তিনি এগিয়েছেন বলে জানান মোদী। এরপর মোদী বলেন,' আমার মনে একটা সৎ চিন্তা ছিল আমরা পথ খুঁজছিলাম। আমরা একটি ছোট উপায় খুঁজে পেয়েছি, আমরা কখনই দাবি করিনি যে এটি ছিল সেরা উপায়।' প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ যদি কোন ইলেক্টোরাল বন্ড না থাকে তাহলে টাকা কিভাবে এলো এবং কোথায় গেল তা খুঁজে বের করার ক্ষমতা কোন সিস্টেমের আছে?’ আক্ষেপের সুরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক্ষেত্রে উন্নতির সুযোগ রয়েছে। কিন্তু আজ আমরা দেশকে পুরোপুরি কালো টাকার দিকে ঠেলে দিয়েছি, তাই আমি বলি সবাই আফসোস করবে। যখন তারা সৎভাবে চিন্তা করবে, তখন সবাই আফসোস করবে।’