আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স (এআই) নিয়ে রাহুল গান্ধীকে প্রশ্ন করেছিলেন এক তরুণ। আর সেই প্রশ্নের জবাবে ওয়াইনাডের কংগ্রেস সাংসদ যে উত্তর দিলেন, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেল। তাঁকে চূড়ান্ত ট্রোল করলেন নেটিজেনদের একাংশ। কোনও নেটিজেন বললেন, ‘যখন আপনাকে এআই নিয়ে রচনা লিখতে দেওয়া হয় ও আপনি এটাও জানেন না যে এ এবং আইয়ের পুরো অর্থ কী, (তখন এরকম হয়)।’ অপর এক নেটিজেন আবার কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়া হিসেবে মহান রাহুল গান্ধীর ভিডিয়োটা দেখার পরে এআই নিয়ে আমার সমস্ত ধন্দ কেটে গেল। উনি যেভাবে বোঝালেন, সেটা অধ্যাপকরাও পারেন না।’
কিন্তু রাহুল কী এমন বলেছেন, যা নিয়ে ট্রোল শুরু হয়েছে?
সম্প্রতি 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'-র মধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন রাহুল। তাঁদের কেউ গুগলে কাজ করেন, কেউ আবার ডেলোয়েটে কাজ করেন বলে দাবি করেছে কংগ্রেস। তাঁদের সঙ্গে আলাপচারিতার ফাঁকেই এক তরুণ রাহুলকে আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে প্রশ্ন করেন।
সেই প্রশ্নের জবাবে রাহুল বলেন, ‘এআই যা কিছু তৈরি করছে, তা অপর একটি নেটওয়ার্কের উপরে অবস্থান করে। অর্থাৎ একটি নেটওয়ার্কের উপর এআইকে ব্যবহার করা হয়। একটি প্রোডাকশন নেটওয়ার্কের উপর এআইকে ব্যবহার করা হতে পারে। আপনি কোনও কারখানায় এআইকে ব্যবহার করতে পারেন। আপনারা ক্রেতাদের নেটওয়ার্কের উপর বসাতে পারেন এআইকে। লোকজন কোনও জিনিস কিনছেন, আপনি সেই জিনিসটার সরবরাহ করছেন, সেটার ক্ষেত্রেও আপনি এআই ব্যবহার করতে পারেন। অর্থাৎ একটি নেটওয়ার্কের উপর অবস্থান করে এআই।’ সেইসঙ্গে আমেরিকার বিরুদ্ধে এআইয়ের প্রয়োগ নিয়ে মন্তব্য করেন রাহুল।
আর রাহুলের সেই মন্তব্য নিয়ে তুমুল হাসাহাসি শুরু করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। এক নেটিজেন বলেন, ‘এআই নিয়ে যখন আপনার কাছে কোনও উত্তর না থাকে, তখন নেটওয়ার্ক, নেটওয়ার্ক বলে সবাইকে ঘেঁটে দিন।’ অপর এক নেটিজেন বলেন, ‘এআইয়ের প্রশ্নে রাহুলের মূল হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে নেটওয়ার্ক।’ একজন আবার বলেন, ‘চ্যাটজিপিটি এবং এআই নিয়ে রাহুলের উত্তর দিতে স্যাম অল্টম্যান অজ্ঞান হয়ে গিয়েছেন।’