কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা রাহুল গান্ধীর জাতিগত জনগণনার প্রতিশ্রুতির বিরোধিতা করেছিলেন এবং দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে একটি চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন যে কংগ্রেস কখনই পরিচয়ের রাজনীতিতে জড়িত বা সমর্থন করেনি এবং তাই এটি গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকারক। ‘আমার বিনীত মত, এটাকে (জাতিগত জনগণনা) ইন্দিরাজি এবং রাজীবজির উত্তরাধিকারকে অসম্মান হিসাবে ভুল ব্যাখ্যা করা হবে…’ লিখেছেন আনন্দ শর্মা। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ইন্দিরা গান্ধীর ১৯৮০ সালের বক্তব্য উদ্ধৃত করেছেন, 'না জাত পর না পাত পর, মোহর লাগেগি হাত পর'; রাজীব গান্ধীর '... সংসদীয় ও বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য জাতপাতকে ফ্যাক্টর বানানো হলে আমাদের সমস্যা আছে। তাঁর মতামত তুলে ধরার জন্য একথা উল্লেখ করা হয়েছে।
'গণআন্দোলন হিসাবে কংগ্রেস সর্বদা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে অভ্যন্তরীণ আলোচনা এবং বিতর্ককে উত্সাহিত করেছে এবং সামাজিক ইস্যুতে নীতি প্রণয়ন করেছে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক পশ্চাৎপদতা বরাবরই ইতিবাচক পদক্ষেপের একমাত্র মাপকাঠি।
আনন্দ শর্মা লিখেছেন, বর্ণভিত্তিক জনগণনা, ভারতের জনসংখ্যার একটি জাতিভিত্তিক সারণী যা কংগ্রেসেরে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি, বেকারত্ব এবং বিদ্যমান বৈষম্যের জন্য কোনও ঔষধ বা সমাধান হতে পারে না। চিঠিতে আরও বলা হয়, 'এই গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয়ে সময়োপযোগী নীতি থেকে মৌলিক বিচ্যুতি জাতীয় পর্যায়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে।
‘অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গির দল হিসাবে, কংগ্রেসের উচিত জাতীয় ঐকমত্যের নির্মাতা হিসাবে তার ভূমিকা পুনরুদ্ধার করা এবং একটি ঐক্যবদ্ধ সমাজ গড়ে তোলার চেষ্টা করা। দলের অবস্থান ভারসাম্যপূর্ণ হওয়া উচিত এবং আঞ্চলিক ও বর্ণভিত্তিক সংগঠনগুলির র্যাডিকাল ভঙ্গি পরিহার করা উচিত,"’আনন্দ শর্মা লিখেছেন যে তাঁর চিঠিটি স্বচ্ছতা, গণতান্ত্রিক আলোচনা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার চেতনায় রয়েছে যা কংগ্রেস সর্বদা বিশ্বাস করে।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতিগত জনগণনার দাবিকে প্রধান নির্বাচনী ইস্যু করে তুলেছেন রাহুল গান্ধী। সদ্য সমাপ্ত ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় রাহুল গান্ধী একাধিকবার বিষয়টি উত্থাপন করেছেন।
মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, সমস্ত সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা মূল্যায়নের জন্য 'গুনে দেখো' নামে দেশব্যাপী জাতিগত জনগণনা অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান সংশোধন করে তফসিলি জাতি, উপজাতি ও ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণের ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে কংগ্রেস। মহাজোটের অধীনে বিহার এবং কংগ্রেস শাসিত কর্ণাটক জাতপাতের জনগণনা করত।