নদীর উপরে থাকা ব্রিজে থমকে গিয়েছে ট্রেন। সম্ভবত কোনও যান্ত্রিক গোলোযোগের জেরে এই কাণ্ড! কীভাবে চলবে ট্রেন? এগিয়ে এলেন রেল কর্মী গণেশ ঘোষ। সেই ট্রেনের নীচে হামাগুড়ি দিয়ে তিনি এয়ার লিকেজ সারানোর উদ্যোগ নিলেন। এভাবেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি ট্রেনটিকে ফের চলার উপযোগী করে তোলেন।
রেল কর্মীর এই কর্তব্যপরায়ণতা নিয়ে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন। এদিকে অনেকেরই ধারণা রেলের চাকরি অত্যন্ত সুরক্ষিত। কোথাও কোনও ঝুঁকি নেই। তবে রেলমন্ত্রকের পোস্ট করা ভিডিয়ো দেখে শিউরে উঠছেন অনেকেই।
কিন্তু এবারই প্রথম নয়। কয়েক মাস আগে একজন সিনিয়র অ্য়াসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট সতীশ কুমারকেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের অ্যালার্ম চেন নব সারানোর উদ্যোগ নেন। সেই ট্রেনটিও একটি নদীর ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে পড়েছিল। মুম্বই থেকে প্রায় ৮০ কিমি দূরে তিতওয়ালা থেকে খাদাভালি রুটে ট্রেনটি যাচ্ছিল। সেই সময় একজন যাত্রী আচমকা ট্রেনের চেন টানেন। তারপরই ট্রেনটি দাঁড়িয়ে যায়।
সেই সময় রেলমন্ত্রক একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন। সেই সময়ও দেখা গিয়েছিল সতীশ কুমার এক্সপ্রেস ট্রেনের নীচে হামাগুড়ি দিয়েছিলেন নবটি সারিয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে মধ্য রেলের অনুরোধ, প্রয়োজন না হলে অ্যালার্ম চেন টানবেন না।