মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলায় একেবারে ভয়াবহ ঘটনা। রেল লাইনের প্রায় তিন কিমির মধ্যে মিলেছে অন্তত পাঁচজনের মৃতদেহ। গোটা ঘটনায় ব্য়াপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়। ওই দেহগুলি চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কীভাবে দেহগুলি ওখানে এল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। মোরেনা আর পিএফের ইনসপেক্টর হৃষিকেশ মীনা জানিয়েছেন, সমস্ত দেহে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।
সূত্রের খবর প্রথমে শিকারপুর রেল ক্রশিংয়ের কাছে একজন পুরুষ ও একজন মহিলার দেহ পাওযা যায়। এরপর তুসিপুরার কাছে অপর একজন পুরুষের দেহ মিলেছে। আরও দুজন পুরুষের দেহ পাওয়া যায় উত্তমপুরা এলাকায়। এখানেই প্রশ্ন কিছুক্ষেত্রে আত্মহত্য়ার জেরে রেললাইনে বডি পাওয়া যায়। কিন্তু মধ্য়প্রদেশে পরপর এই দেহ পাওয়ার ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে কি তারা রেললাইন ধরে আসছিলেন? সেই সময় ট্রেনের ধাক্কায় তারা ছিটকে পড়ে যান। আর তার জেরেই কি মৃত্যু হয় তাদের? গোটা ঘটনায় রহস্য় একেবারে চরমে উঠেছে।
জিআরপির তরফে দাবি করা হয়েছে, কীভাবে তাদের মৃ্ত্যু হয়েছে সেটা পরিষ্কার নয়। তারা আত্মহত্যা করেছেন নাকি ট্রেনের ধাক্কায় তাদের মৃত্যু হয়েছে সেটা জানা যায়নি। সেই সঙ্গেই তাদের খুন করে এভাবে রেললাইনে ফেলে রাখা হয়েছিল কি না সেটাও বোঝা যাচ্ছে না।
এদিকে দেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে দেহগুলি ঠিক কাছাকাছি ছিল না। একটু দূর দূরে পড়েছিল দেহগুলি। তাদের সকলের শরীরে রয়েছে ক্ষতচিহ্ন। দেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের পরেই জানা যাবে তাদের কি আদৌ ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে নাকি তারা আত্মহত্যা করেছেন? তবে বাইরে থেকে খুন করে কেউ ফেলে রেখে দিলেও সেটাও ময়নাতদন্তের মাধ্যমে কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া সম্ভব। এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এনিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। তারা একই পরিবারের কি না বা তাদের পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ বা পরিচিতি ছিল কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup