কুম্ভকর্ণের ঘুমকেও বোধ হয় ছাপিয়ে গেলেন রাজস্থানের এক ব্যক্তি। ঘুমের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েও পাশ ফিরে ঘুম দিলেন নিমচাঁদ।
রাজস্থানের রানিওয়ারা এলাকায় থাকেন নিমচাঁদ। বয়স ৩৫-এর মতো হবে। নিমচাঁদ জানান, ‘মাঝরাতে পেটের কাছে জ্বালা করছিল। ঘুম ভেঙে গিয়েছিল।' তাহলে তখন বুঝলেন না কিছু? উত্তরে তিনি বললেন, 'আমি ভেবেছিলাম খাটে বিড়াল উঠেছিল। চাপা পড়ায় আঁচড়ে দিয়েছে।' হাসপাতালের বেডে শুয়ে বললেন তিনি।
হাসপাতালে থাকাটাই স্বাভাবিক। কারণ আসলে, মাঝরাতে কেউ গুলি করেছিলেন নিমচাঁদকে। সম্ভবত উচ্চ মানের সাইলেন্সার-সহ বন্দুক দিয়ে গুলি চালানো হয়েছিল। তাই টের পাননি নিমচাঁদ। এদিকে অন্ধকারে সম্ভবত লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় গুলি। গেঁথে যায় পাঁজরের মাঝে চামড়ার অল্প গভীরে।
আর সেই ব্যাথাতেই ঘুম ভাঙে তাঁর। এদিকে বিড়াল কামড়েছে ভেবে কিছুক্ষণ হ্যাট-হুট করে পাশ ফিরে শুয়ে পড়েন তিনি। ফের গভীর ঘুম দেন। প্রায় ৬-৭ ঘণ্টা কেটে যায় নিদ্রাদেবীর কোলে। সকালে তাঁর ঘরে আসেন রুমমেট। এসেই নিমচাঁদের ক্ষত চোখে পড়ে তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে ডেকে তোলেন তাঁকে।
সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এক্স রে-তে দেখা যায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। চিকিত্সকরা তাঁর গুলিটি বের করে ক্ষতস্থান ড্রেসিং করে দেন।
রানিওয়ারা থানায় খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের হয়েছে। কিন্তু এমনটা কীভাবে সম্ভব ভেবে কুল পাচ্ছেন না তদন্তকারীরা। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, 'গুলি খেয়েও কেউ নিশ্চিন্তে সারারাত ঘুমালেন, এমনটা প্রথম শুনলাম।'
লাম।'