কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর এনডিএ সরকার গরু নিয়ে বাড়াবাড়ি শুরু করে। গোটা দেশে গোমাতা পালন নিয়ে হিড়িক পড়ে যায়। শুধু তাই নয়, বাংলা থেকে জেতা বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ গরুর দুধে সোন খুঁজে পেয়েছিলেন। তা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল। সাধ্বী প্রজ্ঞা তো ক্যানসার নিরাময়ে গোমূত্রে পান করার নিদান দিয়ে বসেছিলেন। তার মধ্যেই খোলা হয়েছিল রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ। যা কিনা গরু–চর্চার সরকারি পীঠস্থান। এবার বহু ঢক্কামিনাদ পেরিয়ে এখন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই কামধেনু আয়োগ।
এখানেই শেষ নয়, চিন থেকে কোটি কোটি টাকার পণ্য আমদানি রুখে দেওয়া হয়েছিল। কারণ গোবর দিয়েই দেশীয় পণ্য তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিল এই আয়োগ। সেসব এখন অতীত। বর্তমানটি হল, নরেন্দ্র মোদীর সাধের রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ এখন বন্ধ। গত ফেব্রুয়ারি মাসের পর থেকে তার ঝাঁপ বন্ধ। সেই ঝাঁপ আর কোনওদিন উঠবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই।
২০১৯ সালে চালু হয়েছিল রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই তার ঝাঁপে লাঠি পড়েছে। এত তাড়াতাড়ি গরুতে অরুচি হবে তা ভাবতে পারেননি অনেকেই। গরুর দুধ, গোবর বা গোমূত্র নিয়ে তুমুল আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল এই সরকার। গোশালাগুলিতে গিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়। শুরু হয় ওয়ার্কশপ। কলকাতাতেও সেই কাজে এসেছিলেন আয়োগের কর্তারা।
এমনকী চলতি বছরে রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ ঘোষণা করে, তারা দেশজুড়ে একটি পরীক্ষা নেবে, যার নাম ‘কামেধনু গো বিজ্ঞান প্রচার প্রসার পরীক্ষা’। তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় গোটা দেশে। এখন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রচার। যদিও কামধেনু আয়োগের প্রথমদিকের চেয়ারম্যান বল্লভভাই কাঠিরিয়া সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘চেয়ারম্যান হিসেবে আমার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল গত ফেব্রুয়ারি মাসে। মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়নি। নতুন করে কোনও চেয়ারম্যান নিয়োগও করা হয়নি। তাই হয়তো আয়োগের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’