ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সোমবার তিনি কলেজিয়াম সিস্টেম নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে এই কলেজিয়াম সিস্টেমের মাধ্যমে স্বচ্ছতা বজায় রাখার সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে।
পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, গোটা প্রক্রিয়াকে সমালোচনা করাটা বেশ সোজা। তিনি বলেন, কলেজিয়াম সিস্টেমে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলে যেটা বলা হচ্ছে সেটা ঠিক নয়। আমরা সবসময় খেয়াল রাখি যাতে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা বজায় রাখা যায়। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা হয়। …যখন সুপ্রিম কোর্টের জন্য় বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টি বলা হয় তখন হাইকোর্টের যে বিচারপতিরা রয়েছেন তাদের কেরিয়ারের বিষয়টি দেখা হয়।
দেশের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, একাধিক কারণে কলেজিয়ামের কাজকর্ম সকলের সামনে আনা যায় না। সুপ্রিম কোর্টের যাঁদের নেওয়া হয় তাঁদের কেরিয়ার সম্পর্কে আমরা একটু গোপন ভাবেই আলোচনা করে থাকি। এনিয়ে ভিডিয়ো রেকর্ডিং বা তথ্য সংরক্ষণের কোনও ব্যাপার নেই। এরকম কোনও সিস্টেম ভারতীয় সংবিধানে নেই।
দেশের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, এই সমাজের সব বিষয়গুলি মাথায় রেখে আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়গুলির উপর বিশ্বাস রাখতে শিখেছি।
সেই সঙ্গেই প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, এই প্রক্রিয়াকে সমালোচনা করাটা খুব সোজা। কিন্তু অনেক বছর ধরে আমি এই প্রক্রিয়ার মধ্য়ে রয়েছি। কিন্তু এটা আপনাদের নিশ্চিত করতে পারি যে আমাদের বিচারপতিদের নিয়োগ করার আগে আমরা সমস্ত আলোচনা করে থাকি। তারপরই এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, দেশের প্রধান বিচাপতি হিসাবে তিনি দেশের সংবিধানকে মেনে চলতে বাধ্য।