কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতে ওড়িশার বেশ কয়েকটি জায়গায় আয়কর দফতর হানা দিল। আর এই হানায় একাধিক কোম্পানি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩০০ কোটি নগদ টাকা। টাকাগুলি বাজেয়াপ্ত করলেন আয়কর দফতরের অফিসাররা। ওড়িশার ওই সংস্থায় আয়কর হানা দিয়ে রাশি রাশি টাকার পাহাড় দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান অফিসাররা। একদিনে ১৫০ কোটি উদ্ধার হয়। তার পর আরও কত টাকা রয়েছে তা জানতে সময় নেন আয়কর দফতরের কর্তারা। দু’দিন ধরে টানা তল্লাশি চালিয়ে ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডের মদ কারখানা থেকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হল মোট ৩০০ কোটি টাকা।
এদিকে এই বিপুল পরিমাণ টাকা গোনার জন্য যন্ত্র নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ টাকা গুনতে শুরু হলেও শেষ হওয়র আগে সেই যন্ত্রও বিকল হয়ে যায় বলে সূত্রের খবর। পশ্চিম ওড়িশার বৃহৎ মদ প্রস্তুতকারক কারখানায় বুধবার হানা দেয় আয়কর দফতর। কোনও বিল, ভাউচার ছাড়াই ওড়িশার নানা জায়গায় মদ বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছিল বৌধ ডিস্টিলারিজের বিরুদ্ধে। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডে বৌধ ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেডের একাধিক অফিসে হানা দেওয়া হয়। ওড়িশার বালাঙ্গির এবং সম্বলপুরের অফিসেও জোরদার তল্লাশি চলে। অভিযান চলে রাঁচি ও লোহারদাগাতে।
অন্যদিকে ২০১৯–২০২১ সাল পর্যন্ত হিসাবের গড়মিল ধরা পড়েছে। আয়–ব্যয়ের হিসাবে আসমান–জমিন ফারাক ধরা পড়েছে। ওড়িশায় মদের যে সব কারখানায় তল্লাশি চালানো হয়েছে তার সঙ্গে বিজু জনতা দলের (বিজেডি) বিধায়ক যোগেশ সিংয়ের ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সুন্দরগড়ের বিজেপি বিধায়ক কুসুম তেতে। তবে ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ধীরাজ শাহুর বাড়িতে তল্লাশি চালায়। এত অর্থ উদ্ধারের পরেও তা প্রকৃত অর্থে কর ফাঁকির কিনা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তথ্য তলব করল সুপ্রিম কোর্ট, অনুপ্রবেশ নিয়ে কড়া নির্দেশ
এই বিষয়ে বিজেপি বিধায়ক কুসুম তেতের দাবি, ‘সুন্দরগড়ে মদ কারখানাটি বিজেডি বিধায়ক যোগেশ সিংয়ের মায়ের নামে রয়েছে। বিধায়কের কাছে এই কারখানা থেকে নিয়মিত টাকা যেত।’ যদিও বিজেডি বিধায়ক যোগেশ সিং সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ‘এই সংস্থার মালিকের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। সে কি আমাকে অংশীদার করেছিল? যে ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’