বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়ছে বলে অভিযোগ। তারা বাংলাদেশ থেকে এদেশে ঢুকে পড়ছে। সীমান্ত পার করে তারা এদেশে চলে আসছে অভিযোগ এমনই। এবার গোটা বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কেমন পদক্ষেপ করেছে এবং কতজনই বা ঢুকে পড়েছে তা নিয়ে তথ্য তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। এই নিয়ে একগুচ্ছ পিটিশন সর্বোচ্চ আদালতে জমা পড়েছে। আর তাতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে নাগরিকত্ব আইনের ৬এ ধারার সাংবিধানিক বৈধতাকে। ১৯৮৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এই আইন তৈরি হয়।
এদিকে নাগরিকত্ব আইনে কতজন উপকৃত হয়েছে? অসমের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি তথ্য তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ৬এ ধারার সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। কতজন ওই ৬এ ধারা অনুযায়ী উপকৃত হয়েছে? প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ তা জানতে চায়। এই বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় কেন্দ্রকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘যখন নাগরিকত্ব আইনের ৬এ ধারার সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে আওয়াজ উঠছে তখন আদালতের কাছে এটা জরুরি কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য।’
অন্যদিকে এই প্রক্রিয়ায় দুটি ভাগ আছে। ১৯৬৬ সালের আগে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের বিষয়টি মান্যতা পেয়েছে। আর ১৯৬৬ সাল থেকে ৭১ সালের মধ্যে আসা মানুষদের নাম ভোটার তালিকা থেকে ১০ বছরের জন্য বাদ দেওয়া হয়। এই সংখ্যাটি কত? ১৯৬৬ সালের আগে আসা কতজন এই ব্যবস্থার সুবিধা পেয়েছেন? ১৯৬৬ থেকে ৭১ সালের মাঝের সময়ের চিত্রটাই বা কি? ১৯৭১ সালের পরে আসা মানুষজনের সংখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে। আর কেমন পদক্ষেপ করা হয়েছে সেটা জানতে চায় ডিভিশন বেঞ্চ। সুতরাং বিষয়টি নিয়ে এখন কেন্দ্রকে তথ্য দিতে হবে। বিচারপতি সূর্য কান্ত, এমএম সুন্দরেশ, জেবি পাড়িওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ সঠিক তথ্য চেয়েছেন। ১৯৬৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত কতজনকে বিদেশি চিহ্নিত করেছে ট্রাইব্যুনাল এবং নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে তথ্য তলব করেছে বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ কি খারিজ হবে? রাত পোহালেই আধ ঘণ্টায় সিদ্ধান্ত ঘোষণা
এছাড়া ১৯৭১ সালের পরে আসা সবাই অনুপ্রবেশকারী মন্তব্য করে কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, যত দ্রুত সম্ভব তথ্য পেশ করা হবে। রাজ্যসভায় পেশ হওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৯৭১ সালের আগে আসা ব্যক্তি পূর্ববঙ্গের নাগরিক। তাদের ফেরত পাঠানো যাবে না। ১৯৫১ থেকে ৬৬ সালের মধ্যে আসা মানুষদের নিয়েই কাজ হয়েছে। ১৯৬৬ থেকে ৭১ সালের মধ্যে আশা মানুষের সংখ্যা আনুমানিক ৫ লক্ষ ৪৫ হাজার। এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি আগামী মঙ্গলবার বলে জানা যাচ্ছে। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়েও পদক্ষেপ করতে বলেছে বেঞ্চ।