উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। পাশাপাশি ২০২২ সালে একাধিক রাজ্যে নির্বাচনী পরীক্ষার সামনে দাঁড়াতে হবে বিজেপিকে। ২০২৪ এর 'ফাইনাল পরীক্ষা'র আগে এই 'ইউনিট টেস্ট'গুলিতে ভালো ফল করতে মরিয়া বিজেপি। এই আবহে আরএসএস-এ বড়সড় রদবদল আনা হল। বিজেপির সঙ্গে মিলে কাজ করার ক্ষেত্রে সমন্বয় রক্ষা করার দায়িত্ব পেতে চলেছে অরুণ কুমার। গত পাঁচদিন ধরে মধ্যপ্রদেশের চিত্রকূটে বৈঠক করে আরএসএস। সেই বৈঠকেই এই বদলের ঘোষণা করা হয়। এর আগে এই পদে ছিলেন কৃষ্ণ গোপাল।
জানা গিয়েছে, কৃষ্ণ গোপাল সম্প্রতি অসুস্থ হয়েছেন। তাই তাঁর বদলে অরুণ কুমারকে আনা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত প্রচারক হিসাবে থাকতে পারেন প্রশান্ত ভট্ট। এদিকে বাংলা তথা পূর্বাঞ্চলে বদল আনছে আরএসএস। আগে বাংলা ও ওড়িশার ক্ষেত্র প্রচারক ছিলেন প্রদীপ জোশী। তাঁর স্থানে সম্ভবত ক্ষেত্র প্রচারক হিসাবে কলকাতা কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হবে জলধর মাহাতোকে।
এর আগে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের বিজেপিতে নেওয়া যে ভুল হয়েছিল তা টের পেয়েছে গেরুয়া শিবির। আরএসএস-ও এই একই ধারণা পোষণ করে। তাই আরএসএস চাইছে আগামিদিনে পশ্চিমবঙ্গে দলের নেতৃত্ব এমন নেতাদের হাতে থাকা উচিত যাঁরা সঙ্ঘ থেকে এসেছেন বা সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। বিষয়টি তাই ইতিমধ্যেই আরএসএস-এর তরফে জানানো হয়েছে বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষকে।
ওই সূত্র জানাচ্ছে, ইতিমধ্যে আরএসএস বিধানসভা ভোটে হারের ময়নাতদন্ত করে ফেলেছে। সেখানে সামনে এসেছে যে ভোটের আগে বিজেপির কাজে আরএসএস-এর কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। যাকে খুশি দলে নেওয়া হয়েছে। অন্য দল থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের যাচাই না করেই সাংগঠনিক পদ দেওয়া হয়েছে। এমনকি, ১৪৮টি কেন্দ্রে তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের প্রার্থী করা হয়েছে। তাদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন জিতেছেন। এতে পুরনো বিজেপি কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তাঁরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বিজেপির থেকে। এই আবহে আরএসএস-এর পূর্বাঞ্চলীয় ক্ষেত্র প্রচারক বদল বেশ তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।