ইউক্রেনকে নিশানা করে রাশিয়া অন্তত ১২২টি মিসাইল ছেড়েছে বলে খবর। একের পর এক ড্রোন হানা হয়েছে বলেও খবর। অন্তত ২০জন সাধারণ মানুষের এর জেরে মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তবে ইউক্রেনের এয়ারফোর্স বেশিরভাগ মিসাইলকে আটকে দিয়েছে। ইউক্রেনের সেনা প্রধান ভালেরি জালুঝনি জানিয়েছেন, সারারাত ওরা ড্রোন হানা করেছে। তবে সেসব প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে।
এয়ারফোর্সের কমান্ডার মাইকোলা ওলেসচুক তাঁর অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে লিখেছেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পর থেকে এত বড় মিসাইল হানা আর হয়নি।
ইউক্রেনের এয়ারফোর্সের তরফে বলা হয়েছে, এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে সবথেকে বড় বিমান হানা হয়েছিল। সেই সময় ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ৯৬টি মিসাইল ছেড়েছিল রাশিয়া। এবার ৯ মার্চ ৮১টি মিসাইল ছাড়া হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের আধিকারিকরা পশ্চিমী সহযোগীকে অনুরোধ করেছে যাতে এই ধরনের বিমান হানা রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়। এই বিমান হানায় অন্তত ৮৮জন জখম হয়েছেন বলে খবর। যে বিল্ডিংগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মধ্য়ে রয়েছে প্রসূতি হাসপাতাল, অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক, স্কুল রয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ক্রেমলিনের ফোর্স বিরাট সব অস্ত্র ব্যবহার করেছে। তার মধ্য়ে একাধিক মারণ মিসাইল রয়েছে।
জেলেনেস্কি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, আজ রাশিয়া সবরকম অস্ত্র ব্যবহার করেছে। ইউক্রেনের এয়ারফোর্সের মুখপাত্র ইউরি ইহনাত জানিয়েছেন, যা কিছু ছিল সব দিয়ে আক্রমণ করেছে। শুধু মাত্র সাবমেরিন থেকে ছোঁড়া হয় কালিব্র মিসাইলটা ছোঁড়েনি।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছিল এই মিসাইল হানা। রাতভর চলে এই মিসাইল হানা। অন্তত ৬টা শহরে এই মিসাইল হানা হয়েছে। নিপ্রো শহরে পাঁচজন মারা গিয়েছে। চারজন প্রসূতিকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
ওডেসাতে একাধিক বিল্ডিংয়ের উপর ড্রোনের ভাঙা অংশ পড়ে। দুজন মারা গিয়েছে। ১৫জন আহত। তার মধ্য়ে দুজন শিশুও রয়েছে। রাতের কিভকে লক্ষ্য করে ঝাঁকে ঝাঁকে মিসাইল আসতে থাকে। অন্তত ৩০টি মিসাইলকে আটকানো সম্ভব হয়েছে। একটা গুদামে আগুন ধরে যায়। খারকিভেও মিসাইল হানা হয়েছে। একজন মারা গিয়েছেন। ৯জন আহত।