১৭ বছর পর বিভিন্ন দেশ থেকে ফের সাহায্য নিচ্ছে ভারত। আত্মনির্ভরতার ডাক দিলেও মোদী সরকার বিভিন্ন দেশে থেকে করোনা-সরঞ্জাম গ্রহণ করছে। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে করোনা সংক্রমণের প্রথম দিকে ভারত বহু দেশে ত্রাণ, অক্সিজেন এবং টিকা পাঠিয়েছিল। যা নিয়ে বিরোধীরা বর্তমানে তোপ দাগছে কেন্দ্রকে। এসব বিষয়ে এবার মুখ খুললেন এস জয়শঙ্কর।
তিনি বলেন, 'কোভিড সকলের সমস্যা। যখন প্রথম এই অতিমারী এল, আমরা হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন, প্যারাসিটামল পাঠিয়েছি আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, ইউরোপের দেশগুলিতে। আমরা কুয়েতে চিকিত্সকদের দল পাঠিয়েছি। কিছু দেশকে ভ্যাকসিন দিয়েছি। এখন যেটাকে সাহায্য বলা হচ্ছে, আমরা সেটাকে বন্ধুত্ব বলছি, সহযোগিতা বলছি।'
বিরোধীদের একহাত নিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, 'মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তাই এই যে সাহায্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে মানুষ এই সমস্যাটা ঠিক কতটা গুরুতর, তার ধারণা করতে পারছে না। আমাদের জীবনে কোনওদিন এরকম হয়নি। আজ আমরা যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি, সেই পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে হবে।'
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকে বাঁচতে ভারত বিভিন্ন দেশ থেকে করোনা রোধক সরঞ্জাম নিচ্ছে। আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মানির মতো একাধিক দেশ অক্সিজেন কন্টেনার থেকে শুরু করে ভেন্টিলেটর দিয়ে সাহায্য করছে। এর জেরে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি ভারতের বিদেশ নীতিতে বদল আনা হয়েছে? এই প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, 'আমার মতে এই পরিস্থিতিটাকে এই ভাবে দেখানো উচিত নয়। আমদের একটাই লক্ষ্য, দেশের মানুষকে রক্ষা করা। এই পরিস্থিতিতে আজ আমরা অন্য দেশ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি।'
উল্লেখ্য, দেশের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। করোনা সংকটের চাপে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কঙ্কালসার চিত্র প্রকাশ্যে এসেছে। এই আবহে দীর্ঘ ১৭ বছর পর ভারত ফের বিশ্বের নানা দেশ থেকে সাহায্য গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নানা দেশ থেকে পাওয়া সাহায্য নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিশ্বের নানা দেশের এই পদক্ষেপকে বন্ধুত্বের প্রতিদান হিসেবে দেখতে বলেছেন।