বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য আগেই দাবি করেছিলেন, রাজেশ পাইলট অর্থাৎ সচিন পাইলটের পিতা যখন ভারতীয় বায়ুসেনাতে ছিলেন তখন ১৯৬৬ সালে তিনি মিজোরামে বোমা ফেলেছিলেন। এবার বিজেপির আইটি সেলের সেই দাবির সাপেক্ষে পালটা জবাব দিলেন সচিন পাইলট।
মঙ্গলবার সচিন পাইলট পালটা এক্স প্লাটফর্মে পোস্ট করে জানিয়েছেন, আপনার কাছে ভুল তারিখ, ভুল ঘটনার কথা রয়েছে। হ্যাঁ, ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট হিসাবে আমার বাবা বোম ফেলেছিলেন। কিন্তু সেটা ১৯৭১ সালে। আর সেটা ছিল পূর্বতন পূর্ব পাকিস্তানে। সেটা ভারত -পাক যুদ্ধের সময়। ২৯ অক্টোবর ১৯৬৬ সালে তিনি ভারতীয় বায়ুসেনাতে যোগ দিয়েছিলেন। সার্টিফিকেটটা দিয়ে দিলাম। । জয় হিন্দ ও হ্য়াপি ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে। লিখেছেন সচিন পাইলট। কিন্তু ঠিক কী জানিয়েছিলেন অমিত মালব্য?
তিনি একটি নিউজ চ্যানেলের ভিডিয়ো পোস্ট করে জানিয়েছিলেন, ১৯৬৬ সালের ৫ মার্চ রাজেশ পাইলট ও সুরেশ পাইলট ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান নিয়ে মিজোরামের রাজধানী আইজলে বোম ফেলেছিলেন। পরে তাঁরা কংগ্রেসের সাংসদ ও মন্ত্রী হয়েছিলেন। যাঁরা সহনাগরিকদের উপর বোম ফেলেছিলেন তাদেরকে সংবর্ধনা দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। এনিয়ে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে প্রমাণ হাজির করেছিলেন তিনি।
তবে সেই বার্তার জবাবে পালটা দিলেন শচিন পাইলট। সেই সঙ্গে প্রয়াত বাবার একটি সার্টিফিকেটও তিনি তুলে ধরেন।
তবে এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও মিজোরাম নিয়ে কংগ্রেসকে একহাত নিয়েছিলেন।
তিনি অভিযোগ করেছেন মিজোরামের বিরুদ্ধে ভারতীয় বায়ুসেনাকে কাজে লাগিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। তিনি বলেছিলেন, মিজোরামের নাগরিকরা কি ভারতের নন? এমনকী আজও ৫ মার্চ মিজোরাম শোকপালন করে। এখনও তাঁরা সেই ঘটনা ভোলেনি। আর কংগ্রেস গোটা দেশের কাছে সেই ঘটনা চেপে গিয়েছে।
তবে এনিয়ে মুখ খুলেছিলেন কংগ্রেস এমপি জয়রাম রমেশ। তিনি জানিয়েছিলেন, ১৯৬৬ সালের মার্চ মাসে মিজোরাম নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তা নিয়ে যা ব্য়াখা দিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তা যন্ত্রণার। কারণ সেই সময় বিভেদকামী শক্তি পাকিস্তান আর চিন থেকে সহায়তা পেত। এটা বুঝতে হবে।