প্রিয়াঙ্কা দেববর্মন
এবার সরস্বতীর মূর্তির গঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলল একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ( এবিভিপি), বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ( ভিএইচপি)র কর্মী সমর্থকরা বুধবার ত্রিপুরায় এনিয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখায়। ত্রিপুরা গভর্নমেন্ট কলেজ অফ আর্ট অ্যান্ড ক্রাফটে সরস্বতী ঠাকুর তৈরি করেছিলেন সেখানকার পড়ুয়ারা। আর সেই প্রতিমার গঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন।
তাদের অভিযোগ একেবারে অশ্লীল রূপ দেওয়া হয়েছে প্রতিমার। এটা একেবারেই ঠিক হয়নি। এতে হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে।
অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক দিবাকর আচার্য জানিয়েছেন, এই প্রতিমার গড়ন ঠিকঠাক নয়। অশ্লীলভাবে প্রতিমাটি তৈরি করা হয়েছে। এতে হিন্দুদের ধর্মীয় আবেগে আঘাত লেগেছে।
তিনি জানিয়েছেন, মূর্তিটি ত্রিপুরার বিভিন্ন মন্দিরের যে মূর্তি রয়েছে তা গঠনকে অনুকরণ করে করা হয়েছে। এতে হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। এটা কোনওভাবেই মানা যায় না।
এদিকে বুধবার পুজোর দিন ওই প্রতিষ্ঠানে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এরপর কার্যত বাধ্য় হয়েই ওই মূর্তিটি শাড়ি দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত ওই মূর্তিটিকে সরিয়ে দেয়। তারা আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নিয়েছে। অপর একটি মূর্তিকে তারা ওখানে রেখে দেন। এরপর প্রথম মূর্তিটিকে তারা সরিয়ে দেন।
গভর্নমেন্ট কলেজ অফ আর্ট অ্যান্ড ক্রাফটের প্রিন্সিপাল ইন চার্জ অভিজিৎ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, উত্তর ভারত ও দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন মন্দিরে যে মূর্তি রয়েছে তার কিছু ভঙ্গিমা এই মূর্তিতে ছিল। এখানকার কোনও মূর্তি কাউকে নকল করে তৈরি হয়নি। আমরা কারোর ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিতে চাইনি। কয়েকজন ওই মূর্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। আমরা সেই মূর্তি সরিয়ে দিয়েছি। অপর একটি মূর্তি সেখানে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছরে যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেটা দেখা হবে।
এদিকে সোশ্য়াল মিডিয়ায় ঘুরছে এই ঘটনার ছবি। অনেকের মতে, এভাবে সরস্বতী ঠাকুরের মূর্তি বিকৃতভাবে করা উচিত নয়। এতে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে।