জেল থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন গ্যাংস্টার। দ্বারকাতে একেবারে কড়া নিরাপত্তা সেই গ্যাংস্টারের বিয়ে উপলক্ষ্য়ে। সন্দীপ ওরফে কালা জাঠেরির সঙ্গে বিয়ে হল অনুরাধা চৌধুরীর। তিনি আবার লেডি ডন বলে পরিচিত। রিভারবার রানি বলেও পরিচিত তিনি। আর তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন গ্যাংস্টারের সঙ্গে। তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন ওই গ্যাংস্টার। বিয়ে করার জন্য় তিনি কয়েকঘণ্টার জন্য় প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন। দিল্লি কোর্ট তাকে এই অনুমতি দিয়েছে। দেখুন সেই বিয়ের ছবি।
লেডি ডন হাতে মেহেন্দি পরেন। সেই ছবিও দেখে নিন। একেবারে বধূর সাজে অনুরাধা। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল টিম গোটা এলাকার নজর রাখছে। সাদা পোশাকের প্রচুর পুলিশও রয়েছে এলাকায়। অন্য় কোনও গ্যাংয়ের লোকজন যাতে না আসে সেটা খেয়াল রাখা হচ্ছে। অন্তত ২০০ পুলিশ এলাকায় রয়েছে। এদিকে বিয়ে করার পরেই গ্যাংস্টারকে ফিরে যেতে হবে জেলে।
এদিকে বিয়েবাড়ির আসরে মোবাইল ফোন আর ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। গোটা এলাকায় চলছে নজরদারি। এদিকে আগামী ১৩ মার্চ গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান হবে হরিয়ানার সোনিপতে। সেদিন কালা নতুন বউকে নিয়ে প্রবেশ করবেন বাড়িতে। একাধিক মামলায় জেলবন্দি সন্দীপ। কালা জাঠেরি ও অনুরাধাকে ২০২১ সালের জুলাই মাসে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। অনুরাধা সন্দীপের গ্যাংয়েরই সদস্যা। তিনি আসলে আনন্দপাল সিংয়ের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত হিসাবে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধেও তোলাবাজি, খুন, অপহরণের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
গোটা এলাকায় প্রায় ২৫০ পুলিশ থাকছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো বাহিনীও থাকবে। স্পেশাল সেল, ক্রাইম ব্রাঞ্চ সহ দক্ষ পুলিশ আধিকারিকরা থাকবেন এলাকায়। রাজস্থান পুলিশ ও এনআইএ নজর রাখছে এই বিয়েতে।
এমনকী কিছু পুলিশ কর্মী অস্ত্র নিয়ে সাদা পোশাকে থাকবেন। প্রায় ১৫০জন অতিথি আসবেন। সেই তালিকা পুলিশকে দেখাতে হয়েছে। যে ওয়েটাররা থাকবেন তাদের পরিচয়পত্র থাকছে।
এদিকে ২০২০ সালে হরিয়ানা পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল সন্দীপ। তার গোষ্ঠীর লোকজন গুলি চালিয়ে তাকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। তবে এবার আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না পুলিশ। একেবারে কড়া নিরাপত্তা। দিল্লি পুলিশের বিশাল বাহিনী তাকে ঘিরে থাকবে। তাকে জেল থেকে বের করা, বিয়ে সুষ্ঠুভাবে করা এরপর জেলে ফিরে যাওয়া সবটাই শান্তিতে করাতে চাইছে পুলিশ।বিয়েটা শান্তিপূর্ণভাবে মেটাতে পারলে কার্যত হাঁফ ছাড়বে পুলিশ।