রাশিয়ার ভাড়াটে সেনার গ্রুপ ওয়াগনার। তারই প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। আর সেই বসের অদ্ভূত কিছু ছবি ঘুরছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। তেমনি একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্রিগোজিন একেবারে অর্ধ নগ্ন অবস্থায় একটি তাঁবুতে বসে আছে। হাতে বরাভয় মুদ্রা। কিন্তু তিনি ঠিক কোথায়, কোথায় এই ছবি তোলা হয়েছিল তা পরিষ্কার নয়। তবে এনিয়ে নানা অনুমান করা হচ্ছে।
ওয়াগনারের অনুমোদিত টেলিগ্রাম চ্যানেলে এই ছবি প্রকাশিত হয়। কেবলমাত্র একটি টি শার্ট আর আন্ডারওয়ার পরে তাঁঁবুতে বসে আছেন তিনি। দৃশ্যতই ক্যামেরা দেখে অস্বস্তিতে তিনি।
কার্যত ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ কার্যত মাঠে মারা গিয়েছে। তারপরই ওয়াগনারের অন্দরে নানা দ্বন্দ্ব। কার্যত দিশেহারা অবস্থা।
কোথায় আছেন বস?
মনে করা হচ্ছে সপ্তাহের প্রথমেই এই ছবি তোলা হয়েছে। মনে হচ্ছে বেলারুশে তিনি রয়েছেন। মস্কোতে বিদ্রোহ করতে গিয়ে বিফল হয়েছেন ওয়াগনার চিফ। সম্ভবত তার পরে তিনি বেলারুশে চলে যান। সেখানেই কার্যত নির্বাসনে রয়েছেন তিনি।
মিররে এনিয়ে রিপোর্ট বেরিয়েছে। মনে করা হচ্ছে তিনি হয়তো বেলারুশে রয়েছেন। কারন প্রিগোজিনের একটি বিমানকে বেলারুশের দিকে উড়তে দেখা যাচ্ছে। সম্ভবত ছবিটা গত ১২ জুলাই তোলা হয়েছে।
পরে আবার প্রিগোজিনের বিমান পিটার্সবার্গের দিকে যেতে দেখা যায়। তার মানে প্রিগোজিন নতুন ক্যাম্পের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সম্ভবত এবার রাশিয়া থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে তিনি বেলারুশে ঘাঁটি গাড়বেন। তার আগেই তিনি নানা ধরনের পরিকল্পনা করছেন।
তবে রাশিয়ায় এমন কোনও আইন নেই যে কেউ প্রাইভেট মিলিটার গ্রুপ রাখতে পারবেন। একথা জানিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপরই এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। ওয়াগনারের আইনগত বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তারপরই সামনে এল সেই ছবি।
কোমারসান্ট সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকারে পুতিন জানিয়েছিলেন, ২৯ জুন তিনি প্রিগোজিনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এদিকে প্রিগোজিনের আরও ছবি সামনে এসেছে। সেখানে কোথাও তিনি দাড়ি রেখেছেন। কোথাও আবার তিনি উইগ পরেছেন। তবে সেই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।