এবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আছড়ে পড়ল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। সুপ্রিম কোর্টের অন্তত ৫০ শতাংশ কর্মী পজিটিভ হয়ে গিয়েছেন বলে খবর। যার ফলে আপাতত বাড়ি থেকেই শুনানি সামলাবেন বিচারকরা। তাই এবার থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই চলবে বিচার প্রক্রিয়া। আদালতের বেশিরভাগ কর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
সূত্রের খবর, শুধুমাত্র শনিবারই ৪৪ জন কর্মী কোভিড পজিটিভ হয়ে গিয়েছেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিচারবিভাগের কর্মী বলেন, ‘আমার সহযোগীর অনেকেই কোভিডে আক্রান্ত।’ করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম ঢেউ চলাকালীন অনেক কর্মীই আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবার দ্বিতীয় ঢেউয়েও আক্রান্ত হলেন অনেকে বলে খবর মিলেছে।
এই পরিস্থিতিতে আপাতত বাড়ি থেকেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সমস্ত মামলার শুনানি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা। ইতিমধ্যেই আদালত চত্বর, সমস্ত ঘরে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। এমনকী নির্ধারিত সময়ের থেকে ঘণ্টাখানেক পরেই সিঙ্গল ও ডিভিশন বেঞ্চের মামলাগুলির শুনানি শুরু হবে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন বেঞ্চের শুনানি নির্ধারিত সময়ের অন্তত ১ ঘণ্টা পর থেকে শুরু হবে। কারণ গোটা সুপ্রিম কোর্ট চত্বর স্যানিটাইজ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, একদিনে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৬৮ হাজার ৯১২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৯০৪ জনের। গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনা রুখতে টিকাকরণে জোর দেওয়ার কথা বলেছিলেন। এদিন জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে মোদী ঘোষিত টিকা উৎসব। সোমবারের হিসেব অনুযায়ী দেশে প্রতি ১০০ টেস্টে ১৪ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসছে।