শিল্প সংস্থা পিএইচডি চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (পিএইচডিসিসিআই) অনুসারে, কৃষকদের আন্দোলনের কারণে প্রতিদিন ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। দিল্লির শম্ভু সীমান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কৃষকরা। সীমান্তে তাঁদের আটকাতে গিয়ে প্রাণ হারালেন সাব ইন্সপেক্টর হীরালাল। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কর্তব্যরত অবস্থায় হীরালালের শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি হয়। এরপরই তাঁকে আম্বালা সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচাতে পারেননি।
জানা গিয়েছে, দিল্লিতে কৃষকদের পদযাত্রার সময়, শম্ভু সীমান্তে পানিপথ জিআরপিতে নিযুক্ত খারখোদার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাব ইন্সপেক্টর হীরালাল মারা গিয়েছেন। এদিন খারখোদায় রাষ্ট্রীয় অভিবাদনের মাধ্যমে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে। হীরালালের দুই সন্তান, তাঁর স্ত্রীও ছিল। তাঁর আগেই মারা গিয়েছেন। তিনি পানিপথের সমলখা পোস্টে নিযুক্ত ছিলেন এবং কৃষকদের দিল্লিতে মিছিল করার আহ্বানের পরে বাহিনী নিয়ে শম্ভু সীমান্তে গিয়েছিলেন। অসুস্থতার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
হরিয়ানার ডিজিপি শত্রুজিৎ কাপুর বলেছেন যে সাব-ইন্সপেক্টর হীরালাল সর্বদা সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করতেন। তার মৃত্যু পুলিশ বাহিনীর জন্য একটা বড় ক্ষতি। সোশ্যাল মিডিয়ায় হরিয়ানা পুলিশ লিখেছে যে কৃষক আন্দোলনের ছদ্মবেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না। পুলিশের শেয়ার করা এক ভিডিয়োতে তরুণ বিক্ষোভকারীদের নিরাপত্তা কর্মীদের দিকে ঢিল ছুড়তে দেখা গিয়েছে। অন্যান্য কৃষকদের বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে পাথর সংগ্রহ করতে দেখা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, কৃষকদের এমএসপি আইনের দাবিতে চলমান বিক্ষোভ চলাকালীন এক প্রতিবাদী কৃষকেরও মৃত্যু হয়েছিল। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হরিয়ানার আম্বালার কাছে শম্ভু সীমান্তে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ৬৩ বছর বয়সী জ্ঞান সিং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জ্ঞান সিং সকালে বুকে ব্যথার অভিযোগ করলে তাঁকে পাতিয়ালার রাজীন্দ্র হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার বাসিন্দা জ্ঞান সিং দু'দিন আগে কৃষকদের 'দিল্লি চলো' পদযাত্রায় অংশ নিতে শম্ভু সীমান্তে এসেছিলেন।
২০২৪ সালের এই কৃষক আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য হল ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের (MSP) আইনি গ্যারান্টি এবং অন্যান্য দাবি। কৃষক সংগঠনগুলো সরকারের কাছ এই দাবি করলেও কয়েক দফা আলোচনার পরও কোনও সমাধান বেরিয়ে আসেনি।