মঞ্জিরী চিত্রে
এবার এনসিপির অজিত পাওয়ারের সঙ্গে শরদ পাওয়ারের গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব একেবারে তুঙ্গে। আর তার জল গড়াল নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত। সূত্র মারফৎ সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের কাছে খবর এসেছে এনসিপির প্রতীকের দাবি করেছে অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী। কমিশনের কাছে তারা এনিয়ে দরবার করেছে। সেই সঙ্গেই তারা দাবি করেছে তাদের সঙ্গে এনসিপির ৪০ জন বিধায়ক রয়েছেন। এনিয়ে তারা হলফনামাও দিয়েছেন।
এদিকে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, গোটা ব্যাপারটা আঁচ করে শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী আলাদা করে কমিশনের কাছে ক্যাভিয়েট ফাইল করেছে। সেখানে তারা উল্লেখ করেছে কমিশন যদি কোনও নির্দেশ দেয় তার আগে যেন তারা তাদের সঙ্গে কথা বলে। তবে সূত্রের খবর, কমিশন আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এনিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
এককথায় মহারাষ্ট্রে এনসিপি বনাম এনসিপির নাটক একেবারে জমে উঠেছে। হিন্দুস্তান টাইমস নিউজ ডেস্কের সংযোজন: বুধবার মহারাষ্ট্রের উপমুখ্য়মন্ত্রী অজিত পাওয়ার এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারকে অনুরোধ করেছেন আপনি এবার দলের পতাকাটা অন্য়ের হাতে তুলে দিন। নতুন প্রজন্মের হাতে দলের ব্যাটন তুলে দিন। এমনকী সরকারি কর্মীদের অবসরের বয়সের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
অজিত পাওয়ার জানিয়েছেন, আপনি সকলের সামনে আমাকে ভিলেন বলে দেখাতে চেয়েছেন। তবে এখনও তাঁর প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু আপনি আমাকে বলুন, আইএএস আধিকারিকরা ৬০ বছর বয়সে অবসর নেন, রাজনীতিতে ৭৫ বছর বয়সে বিজেপি নেতারা অবসর নেন। এলকে আদবানি, মুরলী মনোহর যোশীর কথা ভাবুন। এতে নতুন প্রজন্ম আসার সুযোগ পায়। আপনি আমাদের আশীর্বাদ করুন।
অজিত জানিয়েছেন, আপনার ৮৩ হয়ে গিয়েছে। এবার তো থামা দরকার। আপনার আশীর্বাদ আমাদের দিন। আপনি যাতে দীর্ঘজীবন যাপন করতে পারেন তার জন্য আমরা প্রার্থনা করব।
এদিকে বান্দ্রার এমইটিতে মিটিং করেছেন অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী। সেখানে তিনি জানিয়েছেন রাজ্যের উন্নতির জন্য আমরা বিজেপির হাত ধরতে চাইছি। এমএলএ ফান্ডের জন্য়ও আমরা এটা চাইছি।
তবে এখানেই তিনি থেমে থাকেননি। তাঁর ইচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে তিনি বসবেন। তিনি জানিয়েছেন, মানুষের কল্যাণের জন্য কিছু প্রকল্পের রূপায়ণ করতে হবে। সেকারণে আমার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসা খুব দরকার।
এদিকে অজিত পাওয়ারের গোষ্ঠীর নেতা ছগন ভুজবল জানিয়েছেন, আমাদের সঙ্গে ৪০জন বিধায়ক রয়েছেন। তবে কেউ কেউ ট্রাফিক জ্যামে আটকে গিয়েছেন।মিটিংয়ে আসতে দেরি হয়ে গিয়েছে।