আগামী বছরের শুরুতে রয়েছে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন। তার আগেই নয়া রেকর্ড গড়লেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তথা বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা শেখ হাসিনা। শাসক দল আওয়ামী লীগের চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা আগেই মহিলা নেত্রী হিসেবে রেকর্ড করেছেন। আর এবার বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রেকর্ড গড়লেন মুজিবর কন্যা। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে তিনি ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকেও হারিয়েছেন। এছাড়াও বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে দেশটিকে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে তিনি গড়ে তুলেছেন।
আরও পড়ুন: ‘কাজে ফিরুন, আর বেতনবৃদ্ধি সম্ভব নয়,’ আন্দোলনকারী পোশাক শ্রমিকদের বার্তা হাসিনার
সম্প্রতি টাইম ম্যাগাজিনের কভারে ছিলেন শেখ হাসিনা। বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের মধ্যে শেখ হাসিনাকে একজন হিসেবে ধরা হয়। একাধিকবার তিনি বিশ্বের ১০০ জন ক্ষমতাধর মহিলার মধ্যে রয়েছেন।৭৬ বছর বয়সি এই নেত্রী এখনও পর্যন্ত ৪ বার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি টানা প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন। প্রসঙ্গ, প্রথম তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। এরপর ২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় ফিরে আসেন। সেই থেকে টানা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন শেখ হাসিনা। এছাড়াও তিনি ৭ বার সংসদ হিসেবে রয়েছেন। ভারতের ইন্দিরা গান্ধী হোক বা বৃটেনের মার্গারেট থ্যাচার, এত দীর্ঘ সময় ধরে দেশ শাসন করার রেকর্ড কোনও মহিলা নেত্রীর নেই।
আগামী বছরও নির্বাচনে লড়বেন শেখ হাসিনা । আর নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে প্রত্যয়ী শেখ হাসিনা। সে ক্ষেত্রে পুনরায় তিনি নির্বাচিত হলে নতুন রেকর্ড স্থাপন করবেন।প্রধানমন্ত্রী নিজে জানিয়েছেন, তিনি নির্বাচনে লড়বেন এবং জিতে আবার সরকার গঠন করবেন। তিনি জানিয়েছেন, জনগণই তাঁর সরকারের প্রধান চালিকাশক্তি। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তাঁকে ছুঁড়ে ফেলার কাজ সহজ নয়। তিনি দৃঢ় প্রত্যয়ী হয়ে বলেছেন, তাঁকে হারানোর একমাত্র উপায় হল তাঁকে মেরে ফেলা। এছাড়া বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার উপরে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, আওয়ামী লিগের শাসনে বাংলাদেশের মানুষ এবং সংখ্যালঘুরা সুরক্ষিত।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের প্রভূত উন্নতি হয়েছে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষা, সামাজিক, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। তাছাড়া অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। এক সময় যে বাংলাদেশে খাদ্যের জন্য লড়াই হত এখন সেই বাংলাদেশই খাদ্য রফতানি করছে বিদেশে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে কৃষিক্ষেত্রেও বাংলাদেশ কতটা উন্নতি করেছে। তাছাড়া বাংলাদেশের জিডিপি কয়েকগুণ বেড়েছে।