নবরাত্রির সময়কালে গুজরাত সহ উত্তর পশ্চিম ভারতের একটা বড় অংশে সাবুর খিচুড়ি বহু গৃহস্থেই রান্না করা হয়ে থাকে। ১৯৯৭ সালে মার্চ মাসের নবরাত্রির সময় গুজরাতের ভূমিপুত্র নরেন্দ্র মোদী ছিলেন হিমাচল প্রদেশে। সেখানে তিনি তখন পার্টির দায়িত্বে ছিলেন। সদ্য মোদীর হিমাচল সফরের পর সেই নয়ের দশকের কথা স্মতিচারণ করলেন এক বিজেপি কর্মীর স্ত্রী। সেই সময় সাবুর খিচুড়ি ঘিরে ঘটেছিল এক কাণ্ড!
হিমাচল প্রদেশের স্থানীয় বিজেপি নেতা দীপক শর্মার স্ত্রী সীমা শর্মা সদ্য এক পুরনো ঘটনার কথা প্রসঙ্গে তুলে ধরেছেন মোদীর সাবুদানা খিচুড়ি খাওয়ার ঘটনা। সীমা শর্মা বলছেন, ১৯৯৭ সালে মোদী হিমাচলে থাকাকালীন তাঁর জন্য সেবার সাবু দানা খিচুড়ি রান্না করেছিলেন তিনি। তবে সীমা শর্মার হাতের সাবুদানা খিচুড়ি সেবার ভাল লাগেনি নরেন্দ্র মোদীর। উল্টে, সীমা শর্মাকে মোদী সেখানে থাকেন কীভাবে রান্না করতে হবে সাবুদানা খিচুড়ি। সীমা বলছেন, 'তারপর থেকে আমি যখনই সাবুদানা খিচুড়ি রান্না করি, তখনই ওঁর (নরেন্দ্র মোদী) সেখানে পন্থাতেই করি।' এদিকে, মোদী সদ্য হিমাচল প্রদেশে সফর গিয়ে সেখানের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরকে প্রশ্ন করেন, বিজেপি কর্মী দীপক শর্মা কি এখনও স্থানীয় জাখু মন্দিরে যাচ্ছেন খালি পায়ে? উল্লেখ্য, এককালে সিমলায় পার্টির কাজে মোদী যতদিন সেখানে ছিলেন, তিনি দীপক শর্মার সঙ্গে ওই জাখু মন্দিরে যেতেন। যে দীপক শর্মার স্ত্রীই সেবার তাঁকে সাবুদানা খিচুড়ি খাইয়েছিলেন। চিন, পাকিস্তানের ঘুম ওড়াতে পারে ‘অস্ত্র’ মিসাইল নিয়ে ভারতের নয়া পদক্ষেপ!
বহু বছর পর সিমলায় এসে বিজেপির সভামঞ্চ থেকে সেই দীপক শর্মার প্রসঙ্গ তোলেন সেখানের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। পার্টির প্রথম সারির নেতা না হলেও দীপক শর্মার মতো নেতার কথা মঞ্চেউল্লেখ করায় খুশি দীপক শর্মার স্ত্রী সীমা। আর সেই প্রসঙ্গেই সীমা শর্মা উল্লেখ করেন সাবুদানা খিচুড়ির প্রসঙ্গ। এদিকে, হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, মোদীর এই আলোচনা থেকেই বোঝা যায় যে বিজেপির সর্বস্তরের কর্মীদের সঙ্গে তাঁর কতটা সখ্যতা রয়েছে। উল্লেখ্য, সীমা শর্মা বলছেন, সেই সময় তিনি মোদীকে দেখেছেন নবরাত্রির সময় তিনি কীভাবে নির্জলা উপবাস রাখতেন। সেই সময়ের স্মৃতিচারণায় এই সমস্ত প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন সীমা শর্মা।