আমেরিকায় এবার এক শিখ কিশোরের ওপর হামলার ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। এক ২৬ বছরের মার্কিনি নাগরিকের বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, একটি বাসে ওই কিশোরকে আক্রমণ করে ওই ব্যক্তি। অভিযুক্তের নাম ক্রিস্টোফার ফিলিপো। গত সপ্তাহে কুইন্সে লিবার্টি অ্যাভিনিউতে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গিয়েছে, পাগড়ি পরা নিয়ে বিদ্বেষ ঘিরে ওই শিখ কিশোরের ওপর হামলা চালায় ক্রিস্টোফার। নিউ ইয়র্ক সিটির এমটিএ বাসে ওই ঘটনা ঘটে যায়। ‘আমরা পাগড়ি পরি না’ এই কথা বলেই ওঈই যুবক ওই শিখ কিশোরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। জানা দিয়েছে, জাতি বিদ্বেষের এই ঘটনা এতটাই পারদ চড়িয়েছিল যে, ওই কিশোরকে ওই ব্যক্তি বলে, মাস্ক খুলতে। তারপরই কিশোরের মুখে ঘুষি চালায় সে বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, মার্কিন মুলুকে সদ্য একাধিক জাতি বিদ্বেষের ঘটনা ঘটে চলেছে। তা নিয়ে বহু মহল সরব হলেও, সেভাবে যে ঘটনা রোখা যাচ্ছে না, তা এই ভয়াবহ কাণ্ড ফের জানান দিল। জানা গিয়েছে, পাগড়ি পরার জন্য ওই শিখ কিশোরকে মুখে, পিঠে, মাথায় বেধডক মারতে থাকে অভিযুক্ত ক্রিস্টোফার। জোর করে পাগড়ির ওপর ঝাঁপিয়ে পরে ক্রিস্টোফার। ফলে শিখ কিশোরের মুখে হাতে আঁচড়ের দাগ দেখা যায়। কিশোর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। পরে বাস থেকে নেমে ক্রিস্টোফার পালায়।
এদিকে, শুরু হয় মার্কিন পুলিশের তৎপরতা। তারা সেখানে এই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। পুলিশের রেকর্ড বলছে, ওই অভিযুক্ত ক্রিস্টোফার ২০২১ সালে একবার পেরোলে মুক্তি পায়। সেবার সে ডাকাতির দায়ে গ্রেফতার হয়। তাকে ম্যানহ্যাটেনের জেলে বন্দি করা হয়েছিল। এর আগে, সরকারি কাজে বাধা প্রদানের দায়ে ক্রিস্টোফারের জেলযাত্রা হয়েছিল। এদিকে, ওই ঘটনার জেরে ওই শিখ কিশোর ‘অত্যন্ত ক্ষুব্ধ’ বলে খবর। বেশ কিছুটা চাঞ্চল্য এ ভয়ের আবহ ছড়িয়েছে ঘটনায়। এমটিএর ভারপ্রাপ্ত প্রধান জানিয়েছেন, তিনি এই ঘটনায় বেশ বিব্রত।