অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বকেয়া না মেটানোয় বেজার ক্ষুব্ধ হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। নিজের কেন্দ্র আমেঠিতে ৩ দিনের সফরে গিয়েছেন স্মৃতি ইরানি। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করে বকেয়া নিয়ে সমস্যার কথা জানান অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। তাদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর শিক্ষা আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। তিনি প্রকাশ্যে ফোনেই জেলার স্কুল পরিদর্শককে ফোন করে অবিলম্বে সমস্যার সমাধান করার নির্দেশ দেন। শিক্ষকদের বকেয়া মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: 'কে জানে আমাদের কাছে ওঁরা আর কতদিন আছেন! ’ বাঙালি মায়ের কথা বলে আবেগঘন স্মৃতি
ফোনে শিক্ষা আধিকারিককে ভর্ৎসনা করার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে স্মৃতি ইরানিকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনার ডেস্কে যা কিছু পড়ে আছে দ্রুত তা সেরে ফেলুন। একটু মানবিকতা দেখান। এটি আমেঠি এবং এখানকার প্রতিটি নাগরিক আমার কাছে আসেন।’ যদিও ওই শিক্ষা আধিকারিক বকেয়া কেন মেটানো হচ্ছে না তা নিয়ে একাধিক কারণ খাড়া করেন মন্ত্রীর কাছে। ওই আধিকারিকের সঙ্গে বেশকিছুক্ষণ কথা হয় বিজেপি সাংসদের। তাতে ওই শিক্ষা অধিকাররিকদের উদ্দেশ্যে স্মৃতি ইরানি আরও বলেন, ‘আপনি একজন সংসদের সঙ্গে ঝগড়া করছেন। তাঁকে দশ মিনিট ধরে অপেক্ষা করাচ্ছেন। তাহলে বোঝায় যাচ্ছে যে বৃদ্ধ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বকেয়ার দাবিতে আপনার কাছে গিয়েছে তাদের কতক্ষন অপেক্ষা করিয়েছেন। এবার একটু মানবিকতা দেখান।’
বিজেপি সাংসদ অফিসারকে বলেন, আমেঠিতে বসবাসকারী প্রত্যেক ব্যক্তি তাদের সমস্যা নিয়ে সরাসরি তাঁর কাছে যান। যোগী আদিত্যনাথ সরকারও শিক্ষকদের বকেয়া বেতন দিতে চায়। তারা কর্মকর্তাকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। স্মৃতি ইরানি আধিকারিককে বলেছিলেন, যোগী আদিত্যনাথের সরকারও চায় শিক্ষকরা যাতে কোনওভাবেই তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়। তাই তাদের অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তাই দ্রুত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের তাদের অধিকার দিতে হবে। প্রসঙ্গত, এদিন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের একটি দল স্মৃতি ইরানির সঙ্গে দেখা করার পরেই তিনি দেরি না করে প্রকাশ্যই ওই আধিকারিককে ফোন করেছিলেন। সেই সময় অনেকে মন্ত্রীর কথোপকথনের ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেন।