মা শিবানী বাগচীর ছবি পোস্ট করে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি। হ্য়াঁ, বাঙালি মায়ের-ই মেয়ে তিনি। স্মৃতির মা ছিলেন বাঙালি ব্রাহ্মণ, আর বাবা পাঞ্জাবি। তবে মঙ্গলবার হঠাৎ কেন মায়ের ছবি পোস্ট করেছেন প্রাক্তন অভিনেত্রী। কোনও বিশেষ কারণ?
নাহ কোনও কারণ নেই, সেকথাও নিজেই খোলসা করেছেন স্মৃতি ইরানি। লম্বা পোস্টে লিখেছেন অনেক কথা। ঠিক কী লিখেছেন পর্দার, ‘তুলসী’?
স্মৃতি ইরানির কথায়, ‘মা, আমার কাছে তাঁর ছবি পোস্ট করার কোনও বিশেষ কারণ নেই। শুধুমাত্র এই সত্যটি ছাড়া যে তিনি আমাদেরকে অসাধারণ হতে শিখিয়েছেন। আমি মনে করি যে একটা তরুণ জাতি হিসাবে, আমাদের সকলকেই কখনও না কখনও এই সত্যের মোকাবিলা করতে হবে যে আমাদের বৃদ্ধা বাবা-মা রয়েছেন। যাঁরা আমাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং স্বপ্নের অনুসরণে আশাবাদী, আমাদের তাঁদের যত্ন নিতে হবে। আমাদের জন্ম দিয়েই বাবা-মায়ের দায়িত্ব শেষ হয়নি।’
স্মৃতি আরও লিখেছেন, ‘আমরা যখনই বাচ্চাদের মতো পা ছুঁড়েছি, ওঁরা ধৈর্য ধরেছেন, আমাদের বদমেজাজ. খামখেয়ালীপনা সহ্য করেছেন।….যখন আমাদের ক্লাসের কোনও বাচ্চার বাবা-মা খেলনা কিনেছেন, তখন আমরা বায়না করেছি, বুঝিনি ওদেরও তো একটা বাজেট (সামর্থের সীমাবদ্ধতা) আছে…। যখন আপনি এই লেখা পড়ছেন তখন হয়ত আপনারও অনেক কথা, স্মৃতি মনে পড়ছে, তাই বাবা-মাকে হ্যালো বলার জন্য সময় দিন, আড্ডা দিন, বলুন আপনিও ওদের ভালোবাসেন, কে জানে আমাদের কাছে ওরা আর কতদিন আছেন!’
আরও পড়ুন-বাবা বই বিক্রি করতেন, আর আমার স্নাতক মা মশলা বেচতেন, ওঁরা আলাদা হয়ে যান : স্মৃতি
আরও পড়ুন-অষ্টমঙ্গলা নয়, ৩ দিনেই জোড় খুলতে সৌরভকে নিয়ে বাপের বাড়িতে দর্শনা
আরও পড়ুন-'ক্যাটরিনাকে বিয়ে না করলে তোমাকেই করতাম…' শাহরুখকে একী বললেন ভিকি! তাহলে কি….
স্মৃতি এই আবেগঘন পোস্টে নেটপাড়ার বহু নাগরিকই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছেন। অভিনেতা সোনু সুদ এবং রাজকুমার রাও এই পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এছাড়া আরও অনেকেই কমেন্ট করেছেন। বহু নেটিজেন তাঁদের নিজেদের বাবা-মায়ের কথা তুলে ধরেছেন। অনেকেই বাবা-মাকে সময় দেওয়ার বিষয়ে স্মৃতির সঙ্গে সহমত।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে 'গরিব' বাবা-মায়ের সঙ্গে কাটানো নিজের কঠিন জীবন, ছোটবেলার কথা বলেছিলেন স্মৃতি। যদিও একসময় তাঁর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়েছিল।
সেপ্রসঙ্গে স্মৃতির সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘সেসময়টা তাঁদের ছোট করে দেখা হত। অথচ আমি জানি, ওঁদের কাছে এটা কতটা কঠিন ছিল, পকেটে মাত্র ১০০ টাকা নিয়ে ওঁরা আমাদের দেখভাল করত। আমার বাবা আর্মি ক্লাবের বাইরে বই বিক্রি করতেন। আমিও বাবার সঙ্গে বসতাম। আর আমার মা বাড়ি বাড়ি মশলা বিক্রি করতেন। আমার মা ছিলেন বাঙালি ব্রাহ্মণ পরিবারের আর বাবা পাঞ্জাবি। মা স্নাতক ছিলেন, কিন্তু বাবা বিশেষ পড়াশোনা করেননি। হতে পারে সেকারণেই হয়ত ওদের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল।’