করোনা অতিমারিতে অন্যান্য রাজ্যের মতো বিপাকে পড়়েছেন ত্রিপুরার বাসিন্দাদের অনেকেই। করোনা সংক্রমণ রুখতে গিয়ে একাধিক ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করেছে সরকার। এদিকে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে কাজও গিয়েছে অনেকেরই। এবার এই সংকটের দিনে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াল ত্রিপুরা সরকার। করোনা সংকটের দিনে সাধারণ মানুষকে আর্থিক সহায়তার জন্য ৫৭৯ কোটির রিলিফ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে ত্রিপুরা সরকার। পাশাপাশি মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পের অধীনও বিশেষ কাজের ব্যবস্থা করেছে ত্রিপুরা সরকার।
বৃহস্পতিবার এব্যাপারে জানিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্য়মন্ত্রী বিপ্লব দেব। তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ নানা সমস্যায় পড়েছেন। সেকারণে মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পের অধীনে রাজ্যে ৩৩২ কোটির টাকার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রায় সাত লক্ষ পরিবারকে এককালীন এক হাজার টাকা ও রেশন দেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হবে।’
কিন্তু কীভাবে বাসিন্দারা পাবেন এই টাকা? ত্রিপুরা রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, ৭০ লক্ষ পরিবারে সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পৌঁছে যাবে। রেশন দেওয়ার জন্য খরচ হবে প্রায় ৮০ কোটি টাকা। প্রবীণ ও বিধবাদের মিলিয়ে প্রায় চার লক্ষ গ্রাহককে দুই মাসের অগ্রিম সামাজিক ভাতা দেওয়া হবে। তবে শুধু গ্রাম নয়, শহরের মানুষের পাশেও সংকটের দিনে দাঁড়িয়েছে ত্রিপুরা সরকার। ত্রিপুরা শহরাঞ্চলের কর্মসংস্থানের জন্য প্রায় ২৪ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় অবস্থিত খেরেঙ্গবার স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ১৫০ শয্যার হাসপাতালে পরিণত করার জন্য় ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।