ব্যবসা চালিয়ে নিয়ে যেতেই ‘হিমশিম খাচ্ছি’, হরেদরে এই বার্তাই বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টকে দিয়েছে ভারতের ‘বাজেট এয়ারলাইন্স’ হিসাবে পরিচিত স্পাইসজেট। সংস্থাকে কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, যে একটি অংশের অর্থ, স্পাইসজেটকে দিতে হবে সংস্থার প্রাক্তন কর্ণধার কালাইনিথি মারানকে। সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতে এদিন কোর্টকে একথা জানিয়েছে স্পাইসজেট।
এই মামলার সূত্রপাত ২০১৮ সালে। সেবার এক সালিশি মামলায় হেরে গিয়েছিল স্পাইসজেট। তার প্রেক্ষিতে সংস্থার প্রাক্তন কর্ণধার কালাইনিথি মারানকে ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সুদ সহ দেওয়ার কথা ছিল সংস্থার। একটি শেয়ার হস্তান্তরকে কেন্দ্র করে ছিল সেই মামলা। এর আগে শেয়ার হস্তান্তর ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছিল ২০১৫ সালে। পরে প্রাপ্ত অর্থের বাকি অংশের দাবিতে কোর্টের দ্বারস্থ হন কালাইনিথি মারান। তিনি কোর্টকে জানান যে, প্রাপ্য অর্থের ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এখনও পাওনা বাকি আছে তাঁর। এদিকে, সেই মামলায় বৃহস্পতিবার কোর্টকে স্পাইসজেট জানিয়েছে যে, সংস্থা আর্থিকভাবে ব্যাপক হিমশিম খাচ্ছে পরিস্থিতি বাগে আনতে। স্পাইসজেট ১০ দিনের মধ্যে ৭৫০ মিলিয়ন টাকা জমা দেওয়ার কথা বলেছিল। তবে, বিচারপতি সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে ১ বিলিয়ন টাকা দিতে বলেছে সংশ্লিষ্ট প্রাপককে। এছাড়াও আদালত সাফ জানিয়েছে যে, যদি টাকা দিতে ব্যর্থ হয় সংস্থা, তাহলে সংস্থার সম্পত্তি ক্রোক করতে পিছপা হবে না দিল্লি হাইকোর্ট।
এই মামলা নিয়ে একটি বিবৃতিতে স্পাইসজেট জানিয়েছে, তারা কোর্টকে সম্মান করে 'নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নির্দিষ্ট অর্থ প্রদান করবে'। স্পাইস জেট ইতিমধ্যেই একাধিক আর্থিক মামলা ঘিরে বিপাকে রয়েছে। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর অজয় সিংকে ক্রেডিট সুইস মামলায় ইতিমধ্যেই তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই এল দিল্লি হাইকোর্টে সংস্থার তরফে এই তথ্য। এদিকে, স্পাইসজেট সংস্থার বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের মামলা এরপর ১১ সেপ্টেম্বরে শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, সদ্য চলতি মাসে ত্রৈমাসিক লাভে গত ৪ বছরের নিরিখে বড় প্রাপ্তি পেয়েছে স্পাইসজেট। সেই জায়গা থেকে সংস্থার তরফে এই বার্তা ঘিরে উঠছে নানান দিক দিয়ে উদ্বেগ। বেশ কিছু পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে স্পাইসজেট আগের থেকে অনেকাংশে কমিয়ে দিয়েছে বিমান সংখ্যা। ফলে তাদের খরচের অঙ্কও কমেছে। এই পরিস্থিতিতে দুটি বড় মামলা কার্যত স্পাইসজেটের কাছে কাঁটা হয়ে রয়েছে।