ভারতের নির্বাচন কমিশন ভারত রাষ্ট্র সমিথি পরিচালিত তেলাঙ্গানা সরকারকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে যাতে ঋতূ বন্ধু স্কিমের আওতায় কৃষকদের বিভিন্ন সহায়তা দেওয়ার কাজ অবিলম্বে বন্ধ করা হয়। কারণ আদর্শ আচরণ বিধি বা মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট এখনও লাগু করা আছে। সেই আচরণবিধি না তোলা পর্যন্ত যেন এই ধরনের বিতরণ বন্ধ করা থাকে তারই নির্দেশ।
ভারতের নির্বাচন কমিশন দেখেছে, অর্থ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী টি হরিশ রাও আদর্শ নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করেছেন। ভোটের আগেই তিনি এই স্কিমের বণ্টন নিয়ে ঘোষণা করেছিলেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এটা ব্যপকভাবে সম্প্রচারিত হয়েছিল। কমিশনের পর্যবেক্ষণ টি হরিশ রাও বিআরএস প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়ছেন। তিনি বিধি ভঙ্গ করেছেন।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, তিনি শুধুমাত্র এমসিসি ভঙ্গ করেছেন সেটাই নয়, তিনি এই স্কিম সম্পর্কে ব্যপক প্রচারও করেছেন।
এদিকে ২০১৮ সালে কমিশন বিধানসভা ভোটের আগে ঋতূ বন্ধু স্কিমের বণ্টনের ব্য়াপারে অনুমোদন দিয়েছিল। তবে এখানে একাধিক শর্ত আরোপ করা হয়েছিল। যেমন এই স্কিম নিয়ে কোনও প্রচার করা যাবে না, কোনও সভা সমিতি করা যাবে না, নতুন করে কোনও উপভোক্তাকে এই স্কিমের আওতায় আনা যাবে না। চেক বিলি না করে অনলাইনে উপভোক্তাদের কাছে অর্থ পৌঁছে দিতে হবে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষণ রবি মরশুমে ঋতূ বন্ধু সহায়তার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও দিন নেই। অক্টোবর থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে যেকোনও সময় এটা হতে পারে। গত পাঁচ বছরে সেটাই হয়েছে। তেলাঙ্গানা সরকার এবার ইসিকে জানায়, তারা চলতি বছরে ২৪ নভেম্বর থেকে এই স্কিম অনুসারে বণ্টন করবে। তখন নির্বাচন কমিশন এনিয়ে আপত্তি জানায়নি। তবে ২০১৮ সালের নিয়মটা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তারপরেও এমসিসি ভঙ্গ করা হয়েছে বলে অভিযোগ কমিশনের। এরপরই কড়া সিদ্ধান্ত।