সূর্যকিরণ, উত্তাপ ও আর্দ্রতায় দুর্বল হয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। সেই কারণেই গ্রীষ্মে তার সংক্রমণের হার কমে যায়। বৃহস্পতিবার এমনই দাবি জানিয়েছেন আমেরিকার এক প্রশাসনিক আধিকারিক।
আমেরিকার সরকারি গবেষকরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস সবচেয়ে নিরাপদে বাঁচে ঘরের অন্দরে। কিন্তু বাইরের শুকনো, গরম ও আর্দ্রতাপূর্ণ পরিবেশে তা কমজোরি হয়ে পড়ে বলে সংক্রমণের ক্ষমতা হারায়।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের দৈনিক সাংবাদিক বৈঠকে আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটির অধীনস্থ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ডিরেক্টোরেট-এর প্রধান উইলিয়াম ব্রায়ান বলেন, ‘সরাসরি সূর্যের আলো পেলে এই ভাইরাস দ্রুত মারা যায়।’
তাঁর এই তত্ত্বের সঙ্গে মিল পাওয়া যায় ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো শ্বাসকষ্টজনিত রোগের জীবাণুর, যেগুলি গরম আবহাওয়ায় কার্যক্ষমতা হারায়।
ঘটনা হল, গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে ইতিমধ্যেই ত্রাস সৃষ্টি করার রেকর্ড গড়ে ফেলেছে করোনাভাইরাস। সিঙ্গাপুর অথবা ভারতের কেরালার মতো অঞ্চলে মহামারীর প্রকোপ জীবাণুর সঙ্গে আবহাওয়ার সম্পর্কমূলক তত্ত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
প্রেসি্ডেন্ট ডোনাল্ড এই কারণেই বলেছেন, গবেষণালব্ধ তথ্য সন্তর্পণে বিশ্লেষণ করে দেখা দরকার। তবে তিনি গ্রীষ্মে করোনা প্রকোপ কমার সম্ভাবনাকে উড়িয়েও দেননি।
সংক্রমণের গতি শ্লথ করার উদ্দেশে আমেরিকার ১৬টি রাজ্যে সম্প্রপতি নিষাধাজ্ঞা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জর্জিয়া ও সাউথ ক্যারোলিনায় সামনের সপ্তাহ থেকেই স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কাজকর্ম শুরু করার পরিকল্পনা হয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এতে মৃত্যুর হার বাড়তে পারে।
এ দিকে ট্রাম্প সরকার পই পই করে বলছে, সংক্রমণের হার কমার যথেষ্ট প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত রাজ্যগুলির আরও ২ সপ্তাহ অপেক্ষা করা উচিত।